আইফোনপ্রেমীদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত আইওএস ১৮.১ অবশেষে রিলিজ করেছে অ্যাপল। আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের সাম্প্রতিক এই ভার্সনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ছিল আইফোন ব্যবহারকারীরা। কেননা ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ প্ল্যাটফর্মটির সকল এআই ফিচার অ্যাক্সেস করতে প্রয়োজন আইওএস ১৮.১।
তবে আইওএস-এর সাম্প্রতিক এই ভার্সনে ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ ছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। এর মধ্যে আছে এমন একটি ফিচার যার জন্য বহুদিন ধরে দাবী জানিয়ে আসছিল আইফোন ব্যবহারকারীরা। অথচ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই ফিচারটি আছে সেই ২০১৮ সাল থেকে এবং এই মুহূর্তে অ্যান্ড্রয়েডের বহুল ব্যবহৃত ফিচারগুলোর একটি হচ্ছে এটি।
কী এই ফিচার?
অবশেষে আইফোনে এল ‘কল রেকর্ডিং’ ফিচার। আইওএস ১৮.১ আপডেটটি ইন্সটল করার মাধ্যমে এখন থেকে আইফোন ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই কল রেকর্ড করতে পারবেন। পাশাপাশি অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্মটির এআই ফিচারের সুবিধা নিয়ে রেকর্ডকৃত কলের রিয়েল-টাইম ট্রান্সক্রিপশনও তৈরি করা যাবে আইফোনে।
আইওএস ১৮.১ ইন্সটল করবেন যেভাবে
খুব সহজেই আপনি আপনার আইফোনের সেটিংস থেকে ‘সফটওয়্যার আপডেট অন ইওর ডিভাইস’ অপশনে গিয়ে আইওএস ১৮.১ আপডেটটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এরপর আপনি অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সসহ নতুন আপডেটের সকল ফিচার সহজেই উপভোগ করতে পারবেন।
যেভাবে কাজ করবে কল রেকর্ডিং ফিচারটি
ইনকামিং বা আউনগোয়িং দু’ধরণের কলেই রেকর্ড করার সুবিধা থাকছে। আপনি যখন অ্যাকটিভ কলে থাকবেন তখন আইফোনের স্ক্রিনের উপরে বাঁ দিকে কোনায় একটি রেকর্ড বাটন দেখতে পাবেন। কল রেকর্ড করতে চাইলে ট্যাপ করতে হবে বাটনটিতে। ট্যাপ করার সাথেই সাথেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি অডিও নোটিফিকেশনের মাধ্যমে কলটির দু’প্রান্তে থাকা গ্রাহকদের জানিয়ে দেওয়া হবে যে, তাদের বার্তালাপটি (কনভারসেশন) রেকর্ড করা হচ্ছে। ফলে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বা প্রাইভেসি সম্পর্কিত বিষয়ে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে।
অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সের কল্যাণে রিয়েল-টাইম ট্রান্সক্রিপশনের সুবিধাও পাবেন ব্যবহারকারীরা। অর্থাৎ অ্যাকটিভ কল চলাকালীন সময়ে বার্তালাপের (কনভারসেশন) রিয়েল টাইমে ট্রান্সক্রিপশনও দেখতে পাওয়া যাবে স্ক্রিনে। আর এই কল ট্রান্সক্রিপশন ফিচারটির কল্যাণে ইংরেজির পাশাপাশি স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, জার্মান, জাপানিজ, মান্দারিনসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি ভাষায় কল ট্রান্সক্রাইব করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
কল রেকর্ডিং এর পাশাপাশি অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ফিচার অ্যাক্সেস করতে পারবেন আইফোনপ্রেমীরা। ফলে রাইটিং অ্যাসিসট্যান্ট-এর মতো এআই ফিচার ব্যবহার করে প্রুফরিডিং ও সামারি তৈরির মতো কাজ খুব সহজেই করা যাবে। পাশাপাশি ডিজিটাল অ্যাসিসট্যান্ট সিরি আগের চেয়ে আরও বেশি দক্ষ হয়ে উঠেছে।