ইউটিউব আয় করার অন্যতম একটি প্ল্যাটফর্ম। বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করে মাসে হাজার হাজার ডলার আয় করছেন। তবে অনেকেই প্রশ্ন করেন, ইউটিউবে ১ হাজার ভিউ হলে একজন ইউটিউব চ্যানেল মালিক কত টাকা আয় করতে পারেন?
আসলে ইউটিউবে ১ হাজার ভিউ হলে কত আয় হবে তা নির্ভর করে বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর। যেমন- চ্যানেলটি কোন বিষয়ে ভিডিও তৈরি করছে, দর্শকের দেশের অবস্থান, বিজ্ঞাপনদাতার ধরন এবং ভিডিওর এনগেজমেন্ট লেভেল ইত্যাদির ওপর।
তবুও সাধারণভাবে, ইউটিউবে ১ হাজার ভিউ থেকে আয় করতে ০.৫০ থেকে ৫ মার্কিন ডলার পর্যন্ত হতে পারে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫৫ টাকা থেকে ৫৫০ টাকার মতো। তবে ইউটিউবে আয়ের মূল উৎস হলো বিজ্ঞাপন। যখন দর্শকরা আপনার ভিডিও দেখে তখন সেখানে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। এর জন্য আপনাকে গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে টাকা দেয় ইউটিউব।
জেনে নিন ইউটিউবে আয় বাড়াতে ভিউ বাড়ানোর কিছু কৌশল-
মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করুন
প্রথম এবং প্রধান শর্ত হল মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করা। কনটেন্টের মান যত ভালো হবে, তত বেশি মানুষ ভিডিওটি উপভোগ করবে, যা ভিউ এবং এনগেজমেন্ট বাড়াতে সহায়ক। নির্দিষ্ট একটি টপিক বা বিষয় নিয়ে চ্যানেল তৈরি করলে দ্রুত দর্শকদের আগ্রহ অর্জন করা সম্ভব হয়।
সঠিক টাইটেল, থাম্বনেল এবং ডিসক্রিপশন
আকর্ষণীয় এবং ইনফর্মেটিভ টাইটেল, থাম্বনেল এবং ডিসক্রিপশন দর্শকদের আকৃষ্ট করতে সাহায্য করে। টাইটেল এবং ডিসক্রিপশনে সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করে ভিডিওটির জন্য সার্চ র্যাংকিং বৃদ্ধি করা যায়।
এসইও অপ্টিমাইজেশন
ভিডিওর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (এসইও) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিডিও ট্যাগ, টাইটেল এবং ডিসক্রিপশনে কিওয়ার্ড ব্যবহার করে ভিডিওটিকে ইউটিউব সার্চে টপ পজিশনে নিয়ে আসা সম্ভব।
আপলোডের নিয়মিত সময়সূচী অনুসরণ করা
নিয়মিতভাবে ভিডিও আপলোড করলে দর্শকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পায় এবং সাবস্ক্রাইবাররা নিয়মিত ভিডিও পেতে থাকে, যা ভিউ বাড়াতে সাহায্য করে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা
নিজের ভিডিওগুলো ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, টিকটক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। এটি আপনার ভিডিওর ভিউ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
ট্রেন্ডি ও জনপ্রিয় বিষয় বেছে নেওয়া
বর্তমান ট্রেন্ড অনুযায়ী বিষয়বস্তু তৈরি করুন। কোনো বিষয় যদি প্রচলিত হয়, তাহলে সে বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করলে দর্শকদের আকর্ষণ করা সহজ হয়।
এনগেজমেন্ট বাড়াতে কল টু অ্যাকশন ব্যবহার
ভিডিওর শেষে বা মাঝখানে দর্শকদেরকে লাইক, কমেন্ট এবং সাবস্ক্রাইব করতে অনুরোধ করতে পারেন। এটি চ্যানেলের এনগেজমেন্ট বাড়াতে সহায়ক হবে।
ভিউয়ারদের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাক্ট করা
ভিডিওর কমেন্টে ভিউয়ারদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা একটি পজিটিভ ইমপ্রেশন তৈরি করে, যা তাদেরকে চ্যানেলের নিয়মিত দর্শকে পরিণত করতে পারে।