অ্যাপলের আইফোনের দাম লাখ টাকা। কিন্তু এই ফোন তৈরির খরচ কত তা অনেকেরই জানা নেই। গ্রাহকের কাছ থেকে অ্যাপল কত লাভ করে সে সম্পর্কে ধারণা বুঝি কারোরই নেই।
আইফোন ছাড়াও লাখ টাকায় বিক্রি হয় গুগলের পিক্সেল ফোন এবং স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি সিরিজের ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলো। অ্যাপল বা অন্য যে কোনও কোম্পানিই হোক না কেন। কিন্তু এত দাম কেন? কোভিড এবং উন্নত মানের চিপ তৈরির খরচ বাড়ার কারণেই ফোনের দাম বেড়েছে বলে দাবি স্মার্টফোন নির্মাতাদের।
কিন্তু সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে কিছুটা ভিন্ন তথ্য সামনে এসেছে। রিপোর্টে আইফোন ১৬ প্রো এবং পিক্সেল ৯ প্রো তৈরির খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
পিক্সেল ৯ প্রো স্মার্টফোন তৈরি করতে যে সব যন্ত্রাংশ লাগে তার দাম প্রায় ৪০৬ ডলার। একইভাবে আইফোন ১৬ প্রো তৈরির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের মূল্য ৫৬৮ ডলার।
পিক্সেল ৯ প্রো তৈরির খরচ পিক্সেল ৮ প্রোর তুলনায় ১১ শতাংশ কম। তবে এভাবে সবসময় তুলনা করা যায় না। কারণ পিক্সেল ৯ প্রোর স্ক্রিন এবং ব্যাটারি ছোট। পিক্সেল ৯ প্রোর টেনসর জি৪ চিপের দাম প্রায় ১০ হাজার টাকারও বেশি। যেখানে স্যামসাং এম১৪ ডিসপ্লে এবং ক্যামেরার দাম যথাক্রমে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা।
অন্য দিকে, আইফোন ১৬ প্রো তৈরির খরচ আইফোন ১৫ প্রোর তুলনায় ৬ শতাংশ বেশি। রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যাপল এ১৮ প্রোর চিপসেটের দাম প্রায় ১৫ হাজার টাকা। যেখানে স্ক্রিন এবং ক্যামেরার দাম ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, অ্যাপল এবং গুগল, দুটি কোম্পানিই তাদের প্রো ফোনগুলোর তৈরির খরচের দ্বিগুণ দামে বাজারে বিক্রি করছে। কিন্তু কেন? এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মাথায় রাখা প্রয়োজন, রিপোর্টে যে খরচ দেখানো হয়েছে সেটা ম্যানুফ্যাকচারিং কস্ট। অর্থাৎ ফোন তৈরি করতে কত খরচ পড়ে সেটাই।
এখন কারখানায় শুধু ফোন তৈরি করলেই তো হবে না। সেটাকে বাজারজাত করতে হবে। ইউজারকে জানাতে হবে নতুন ফোন এবং তার ফিচারের কথা। সোজা কথায়, শিপিং, ডিস্ট্রিবিউশন, গবেষণা এবং উন্নয়ন, মার্কেটিং ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বিপুল খরচ হয়। সেগুলোও হিসেবের মধ্যে ধরতে হবে। এই সব মিলিয়েই ফোনের দাম বেড়ে যায়।