চলতি বছর শেষে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন বিক্রি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বাড়বে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২৪ সালে ডিভাইস বিক্রি পৌঁছবে ১ হাজার ২৪০ কোটি ইউনিটে। বাজার গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশনের ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড কোয়ার্টারলি মোবাইলফোন ট্র্যাকার’-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছর ধরে বড় ধরনের পতনের পর ২০২৪ সালে ডিভাইস আপগ্রেডের চাহিদার কারণে স্মার্টফোন বিক্রিতে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। তবে ২০২৫ সাল থেকে বিক্রি কিছুটা ধীর হয়ে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইডিসি। ২০২৩-২৮ সালের মধ্যে এ বাজারের গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ২ দশমিক ৬ শতাংশ। সংস্থাটি বলছে, এ সময় স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়বে, তবে ভোক্তারা নতুন মডেল কেনার আগে বর্তমান ফোনটি দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করবেন ও ব্যবহৃত স্মার্টফোনের বাজারও দ্রুত বাড়বে।
আইডিসির ওয়ার্ল্ডওয়াইড কোয়ার্টারলি মোবাইল ফোন ট্র্যাকারের জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক নাবিলা পোপাল বলেন, ‘যদিও জেনএআই (জেনারেটিভ এআই) এখন বেশ জনপ্রিয় ও অনেক কোম্পানির জন্য অগ্রাধিকারের বিষয়, তবে এটি এখনো স্মার্টফোনের চাহিদায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলেনি। আমাদের বিশ্বাস, জেনএআই আগামী বছর স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় বিপ্লব ঘটাবে। তবে মানুষকে জেনএআইতে আগ্রহী করতে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে এমন কোনো ফিচার নিয়ে আসতে হবে, যেন জেনএআই ডিভাইস কেনার জন্য ব্যবহারকারীরা প্রয়োজনবোধ করেন। আর এসবের জন্য দরকার হবে বড় অংকের বিনিয়োগ।
আমরা আশা করি, আপাতত জেনএআই স্মার্টফোনগুলো প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসে থাকবে। ধীরে ধীরে দাম কমলে ২০২৮ সালের মধ্যে স্মার্টফোন বাজারের ৭০ শতাংশ দখল করবে এ প্রযুক্তি।’
আইডিসির তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সাল শেষে অ্যান্ড্রয়েডের মোট প্রবৃদ্ধির হার হবে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে বছর শেষে আইওএসের বৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে। যদিও চলতি বছর ভারতে অ্যাপলের পারফরম্যান্স রেকর্ড ভেঙেছে, তবে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মতো বড় বাজারে কোম্পানিটি কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। আইডিসির মতে, ২০২৫ সালে আইওএসের বৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৩ দশমিক ১ শতাংশ ও অ্যান্ড্রয়েডের ১ দশমিক ৭ শতাংশ। অর্থাৎ আইওএস ওই সময় অ্যান্ড্রয়েডকে পেছনে ফেলবে।