নতুন একটি চিপ উন্মোচন করেছে টেক জায়ান্ট গুগল। শক্তিশালী এ প্রযুক্তি অত্যন্ত জটিল সমস্যা মাত্র পাঁচ মিনিটে সমাধান করতে পারে বলে দাবি কোম্পানিটির। এ একই সমস্যা সমাধান করতে পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত সুপারকম্পিউটারের লাগবে ১০ সেপটিলিয়ন বছর, অর্থাৎ ১০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ বছর। খবর বিবিসি।
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নামে পরিচিত একটি ক্ষেত্রে সর্বশেষ উদ্ভাবন এ চিপ। কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এমন একটি প্রযুক্তি, যা কণা পদার্থবিজ্ঞানের (particle physics) নীতি ব্যবহার করে ‘অবিশ্বাস্যভাবে’ শক্তিশালী নতুন ধরনের কম্পিউটার তৈরি করার চেষ্টা করছে। গুগল জানিয়েছে, ‘উইলো’ নামে তাদের কোয়ান্টাম চিপটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নতুন উদ্ভাবন। এটি কার্যকর ও বড় পরিসরের কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির পথ প্রশস্ত করছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, উইলো বর্তমানে একটি পরীক্ষামূলক ডিভাইস। বাস্তব বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার মতো শক্তিশালী কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরিতে এখনো বহু বছর সময় ও বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন।
কোয়ান্টাম কম্পিউটার ফোন বা ল্যাপটপের মতো প্রচলিত কম্পিউটারের তুলনায় একেবারেই ভিন্নভাবে কাজ করে। এগুলো কোয়ান্টাম মেকানিক্স ব্যবহার করে, যা প্রচলিত কম্পিউটারের তুলনায় অনেক দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে পারে।
প্রযুক্তিবিদদের ধারণা, একসময় এ প্রযুক্তি জটিল প্রক্রিয়া, যেমন- নতুন ওষুধ তৈরি করার কাজ অনেক দ্রুত করবে।