মহাকাশবিজ্ঞান, রোবোটিকস, এবং স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত) শিক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়ার অনুপ্রেরণা দেওয়ার লক্ষ্যে মহান বিজয় দিবসে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সহযোগীতায় আয়োজন করেছে বিশেষ অনুপ্রেরণামূলক অনুষ্ঠান। ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ (সোমবার), বিসিসি অডিটোরিয়াম, আগারগাঁও-এ অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রধান নভোচারী জোসেফ এম আকাবা তার মহাকাশযাত্রার অভিজ্ঞতা এবং তরুণদের জন্য নতুন সম্ভাবনার গল্প শেয়ার করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাসার প্রধান নভোচারী জোসেফ এম আকাবা।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ইকোনমিক ইউনিট প্রধান জেমস গার্ডনার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পলিসি এডভাইজার (সমন্বয় এবং সংস্কার) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের যুগ্ম সচিব ইশরাত হাসান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেসিস সহায়ক কমিটির চেয়ারম্যান রাফেল কবির।
বাঙালি জাতির গৌরবময় ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সাহসিকতা আমাদের তরুণদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সম্ভাবনায় রূপান্তরের শক্তি দিয়েছে। এই চেতনাকে সামনে রেখে গৌরবময় মহান বিজয় দিবস উদ্যাপনের অংশ হিসেবে বেসিস বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে বিশেষ করে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ পর্বে অংশগ্রহণকারী, মেন্টরস, বিচারক এবং বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের শিক্ষার্থীদের মহাকাশবিজ্ঞান, রোবোটিকস, এবং স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত) শিক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়ার অনুপ্রেরণা দেওয়া।
মহাকাশ শিক্ষায় বাংলাদেশকে মার্কিন মহাকাশ সংস্থার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়ে নাসার প্রধান নভোচারী জোসেফ এম আকাবা বলেন, “আমি মার্কিন দূতাবাসের সহায়তায় আমার অভিজ্ঞতা এবং সরকারের আগ্রহে বাংলাদেশে মহাকাশ গবেষণা ও নভোচারী হবার স্বপ্নপূরণের বাস্তব শিক্ষা নিয়ে কাজ করবো।”
তিনি আরও বলেন, “বললেন, গভীর অনুরাগ ও ক্রেজিনেস থাকলে বিজয় হবেই, সফলতা আসবেই।”
নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে মহাকাশ উদ্দীপনা ও দেশের সমস্যা সমাধানে নেতৃত্বগুণ লাভের আহ্বান জানিয়ে বক্তব্যে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জোসেফের বাংলাদেশ সফর আমাদের জন্য মাইলফলক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে পরিবেশ সুরক্ষায় তোমাদের আহ্বান জানাই। কাজের প্রতি অনুরাগ থাকলে সফলতা আসবেই।
বক্তব্যে ইশরাত হাসান বললেন, মিলিটারি রেজিমের বিরুদ্ধে ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম। ইতিহাস ভোলা যায় না। জুলাইয়ে আমাদের নতুন করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এবার আমাদেরকে অবজেক্টিভ হতে হবে।
জুলাই ৩৬-এ শিক্ষার্থীদের বহনকরা বাংলাদেশের একটি পতাকা জেমস এম আকাবার হাতে তুলে করে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে মিলনায়তনের প্রবেশের মুখেই ৩৬ জুলাইয়ের বীর-শহীদ এপিটাফ পরিদর্শন করেন সকল আমন্ত্রিত অতিথি এবং অন্যান্যরা। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের সাথে এই বিশেষ অনুপ্রেরণামূলক অনুষ্ঠানটি নতুন সম্ভাবনার দরজা উন্মোচন করবে বলে আশা করছে বেসিস।