রাষ্ট্রের সংস্কার হলে সবাই ন্যায়বিচার পাবেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, সংস্কারে আমলাদেরও মত থাকবে, তাদের কথা শোনা হবে। তবে যারা আন্দোলনের নামে চাকরিবিধি লঙ্ঘন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে আমলারা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, এটা নৈতিক ও বিধিগতভাবেও ঠিক হয়নি। বিগত রেজিমের (শাসন) আমলারা নানাভাবে লুকিয়ে আছেন, তাদেরও চিহ্নিত করেছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেব।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত জাতীয় সংলাপে ২০২৪-এর ‘রক্তের ঋণ ও ঐক্যের আকাঙ্ক্ষা’ শীর্ষক অধিবেশনে নাহিদ এসব কথা বলেন।
ব্যাপক জনসমর্থন থাকলেও এই সরকারের প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের বক্তব্য শুনতে পাচ্ছি। তারা এক ধরনের হুমকি দিচ্ছেন। এটার সাহস তারা পেয়েছেন বিগত সময়ে, সেই সময় দেখেছি আমলাতন্ত্রকে শক্তিশালী করা হয়েছে। আমলাতন্ত্রনির্ভরতাকে কাজে লাগিয়ে ফ্যাসিজম তৈরি করা হয়েছে।
এ সময় সঞ্চালক সাইয়েদ আবদুল্লাহ প্রশ্ন করেন, অভিযুক্ত আমলাদের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা। উত্তরে নাহিদ ইসলাম বলেন, এটা নিয়ে আজকেও (শুক্রবার) বৈঠক করেছি। আগামী সপ্তাহে কঠোর পদক্ষেপ আসবে। আমলাদের বলছি, জনগণকে সেবা দেওয়ার এবং গণতান্ত্রিক ট্রানজিশনটা সঠিকভাবে করতে সহযোগিতা করার এখন সময়। আন্দোলন আন্দোলন খেলা কিংবা গোষ্ঠী স্বার্থ রক্ষার জন্য এত মানুষ জীবন দেয়নি।
তিনি বলেন, আমাদের একটা নির্দিষ্ট পররাষ্ট্রনীতি থাকবে। যেটি সব দলের ঐকমত্যে হবে। এখানে এক সরকার তার সময়ে ভারতকেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে, আরেক সরকার হয় ভারতবিরোধী। তবে রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের একক পররাষ্ট্রনীতি থাকবে, যেখানে সরকার পরিবর্তন হলেও নীতি পরিবর্তন হবে না। আমাদের অর্থনীতি, ব্যবসা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যে নির্দিষ্ট নীতিমালা থাকবে। যেগুলো সরকার পরিবর্তনেও কোনো প্রভাব পড়বে না।
নাহিদ ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের ইতিবাচক সৌহার্দ্য ও ঐকমত্য আছে। পাশাপাশি সরকারের ভুল ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে তারা সমালোচনা করছেন। সেগুলো আমরা অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, সরকার ঐক্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আমরা সংস্কারকে এ জন্য গুরুত্ব দিয়েছি, যা ১৫ বছর ধরে রাজনৈতিক দলগুলো বলেছে।