সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উদ্দেশে আদালত বলেছেন, বিচারব্যবস্থা এনালগ করে রেখেছেন, না হলে আদালতে আসতে হতো না; কারাগারে বসে হাজিরা দিতেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো ও জামিনের শুনানিতে গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এসব কথা বলেন। এ সময় পলক আদালতকে বলেন, ‘করোনার সময় চালু করেছিলাম। অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল, চেষ্টা করেছি।
পরে আর এগোনি যায়নি।’ পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর তাঁর জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।
শুনানিতে জুনাইদ আহমেদ পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, ‘তিনি (পলক) নিয়মিত ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করেছেন।
তাঁর সম্পদের সব উৎস সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর যে সম্পদ ছিল সেই সম্পদই আছে। তার বাজারমূল্য বেড়েছে। যে কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের যে অভিযোগ, তার কোনো উপাদান নেই।
’
দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘মানি লন্ডারিং দেশে-বিদেশে যেকোনো জায়গায় হতে পারে। মামলার তদন্ত হয়ে আসুক। তাঁদের মতো জায়গায় থেকে দুর্নীতি করা, এ অবস্থায় যদি তাঁদের জামিন দেওয়া হয়, তাহলে অন্যরা উৎসাহিত হবে।’
বিচারক বলেন, ‘তাঁর (পলক) সম্পদ তো অনেক কম।
পি কে হালদার তো পাঁচ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছেন। শুনানি করার সময় আপনারা তো বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি।’
পরে বিচারক বলেন, ‘আজ (গতকাল) গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এই মামলায় তাঁর (পলক) হাজতবাস নেই। মামলাটি তদন্তাধীন।’ এরপর আদালত পলকের জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন। তাঁকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।