স্মার্টফোনের দুনিয়ায় এখন এআই ফিচারের ছড়াছড়ি। ফোন কেনার সময় অনেকেই এখন এআই ফিচারকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। আইফোনের মতো ফ্ল্যাগশিপ ফোনের ক্ষেত্রে এআই’র উপস্থিতি আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করা যায়। অ্যাপলতো আইফোন ১৬ সিরিজ’কে রীতিমতো নিজেদের প্রথম এআই ফোনই ঘোষণা করেছে। গত মাসে (১১ ডিসেম্বর) আইওএস ১৮.২ রিলিজ হওয়ার পর অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স-ভিত্তিক বেশ কিছু নতুন এআই ফিচারের অ্যাক্সেস পেয়েছেন ব্যবহারকারীরা। কিন্তু অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সের কারণে এবার স্টোরেজ নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন আইফোন ব্যবহারকারীরা।
তবে শুধু আইফোন ব্যবহারকারীরাই নয়, ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ অ্যাক্সেস করা যাবে এমন অ্যাপল ডিভাইসগুলোতেও (যেমন আইপ্যাড বা ম্যাক) দেখা দিয়েছে স্টোরেজ সমস্যা। কেননা অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ইন্সটল করার জন্য এখন ৭জিবি স্টোরেজ প্রয়োজন। অ্যাপলের ওয়েবসাইটে দৃশ্যমান এক নোটিশে বিষয়টি সম্প্রতি উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থাৎ, কয়েক মাস আগের তুলনায় বর্তমানে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করতে হলে প্রায় দ্বিগুণ স্টোরেজ প্রয়োজন হবে। কারণ অ্যাপলের এআই প্ল্যাটফর্মটিতে নতুন নতুন যত বেশি ফিচার যুক্ত হচ্ছে ততই বড় হচ্ছে এর ফাইল সাইজ- যেটা প্রকারান্তরে ডিভাইসের আভ্যন্তরীণ স্টোরেজেই প্রভাব ফেলবে।
অ্যাপল প্রাথমিকভাবে আইওএস ১৮.১ ভার্সনের সাথে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স রিলিজ করে। সে সময় এটি ইন্সটল করার জন্য ৪জিবি স্টোরেজ প্রয়োজন হতো। এবার আইওএস ১৮.২ রিলিজের পর অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সে যুক্ত হয় জেনমোজি’র মতো ফিচার। ফলে ডিভাইসে এখন ৭জিবি স্টোরেজ প্রয়োজন অ্যাপলের এআই ফিচার অ্যাক্সেস করার জন্য।
উল্লেখ্য, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স-ভিত্তিক এআই ফিচারগুলোকে আলাদা আলাদাভাবে ইন্সটল করা যায় না। ফলে ব্যবহারকারীকে হয় অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ইন্সটল করতে হবে- যেখানে সব এআই ফিচার থাকবে, নতুবা কোনোটি-ই ব্যবহার করা যাবে না।