শীতে পানি গরম করতে গিজারের বিকল্প নেই। বাজারে দুই ধরনের গিজার পাওয়া যায়। একটি ইলেকট্রিক গিজার। অন্যটি গ্যাস চালিত গিজার। এই দুই ধরনের গিজার থেকে কোনটি কিনবেন তা অনেকেই ঠিক করে উঠতে পারেন না। জানুন কোন গিজারটি আপনার জন্য ভালো। আপনার কোনটি কেনা উচিত।
গ্যাস গিজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি নেই বটে কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, অসতর্ক হলে এ থেকেও বড় বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। কীভাবে? অভিজ্ঞ ইলেকট্রিশিয়ানরা জানালেন সে কথাই। ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতিরও কথাও জানিয়েছেন তারা।
ইলেকট্রিশিয়ানরা জানান, ইলেকট্রিক গিজারের তুলনায় গ্যাস গিজার অনেক সস্তা। লাগানোও সহজ। কিন্তু ব্যবহারের ভুলে বড় বিপদ হতে পারে। গ্যাস গিজার থেকে অনেকেই গুরুতর জখম হয়েছেন। এমনকি প্রাণহানির মতো ঘটনাও প্রায়ই ঘটে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যাস গিজার থেকে গ্যাস বের হয়। এটা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বাথরুমে যথযাথ ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা না থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
যেখানে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রয়েছে বা খোলামেলা জায়গাতে গ্যাস গিজার ইনস্টল করা উচিত। অনেকেই কিচেন বা বাথরুমে গ্যাস গিজার বসান, ফলে গ্যাস ঠিক মতো বেরতে পারে না। তখন শরীর খারাপ হয়।
গ্যাস গিজার থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়। দেখতে সাধারণ ধোঁয়ার মতো। কিন্তু শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। কার্বন ডাই অক্সাইডের সংস্পর্শে ৫ থেকে ৭ মিনিট থাকলেই শ্বাসকষ্ট হয়। দীর্ঘসময় থাকলে মৃত্যুও হতে পারে। তাই সবসময় খোলামেলা জায়গায় গ্যাস গিজার ইনস্টল করা উচিত।
গ্যাস গিজারের সুবিধা: ইলেকট্রিক গিজারের তুলনায় গ্যাস গিজার সস্তা। দাম কম। ফলে খরচ কম পড়ে। অনেক টাকা বেঁচে যায়। চার-পাঁচ জনের সংসারে একটা গ্যাস সিলিন্ডারে এক মাস কেটে যায়। এদিক থেকেও গ্যাস গিজার সুবিধাজনক।
গ্যাস গিজারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, চাইলেই গরম পানি পাওয়া যায়। অপেক্ষা করতে হয় না। ১০ বালতি গরম পানি দরকার হলেও একবারেই মেলে। গ্যাস গিজার ইনস্টল করাও সহজ। জায়গা কম লাগে। সেফটি ফিচার প্রায় সব কোম্পানির গ্যাস গিজারেরই এক। খুব একটা তফাত নেই। তাই গ্রাহক তার পছন্দমতো যে কোনও ব্র্যান্ডেড কোম্পানির গ্যাস গিজারই ব্যবহার করতে পারেন।