২০২৪ সালে কোরিয়ার ইলেকট্রনিকস জায়ান্ট স্যামসাং বিশ্বব্যাপী প্রায় ২২ কোটি ৩৫ লাখ স্মার্টফোন বিক্রি করেছে, যা মোট স্মার্টফোন বিক্রির ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ। বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) পাঁচ কোটির বেশি স্মার্টফোন বিক্রি করেছে কোম্পানিটি।
যদিও অর্থের এ অংক আগের প্রান্তিক এবং আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় কম, তবু বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ তিন স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে স্যামসাং। জার্মান অনলাইন প্লাটফর্ম স্ট্যাটিস্টার চলতি মাসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্থাটি বলছে, গত বছর বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন বিক্রি ছাড়িয়েছে ১২০ কোটি ইউনিট। এ বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে স্যামসাং ও যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপল। অন্যদিকে চীনের হুয়াওয়ের পতনের পর এ সময় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে শাওমি। এ তিন কোম্পানি একসঙ্গে বিশ্ব স্মার্টফোন বাজারের ৫০ শতাংশেরও বেশি হিস্যা ধরে রেখেছে।
২০০৯ সাল থেকে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে অ্যাপল ও স্যামসাং। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাংয়ের প্রধান স্মার্টফোন লাইন ‘গ্যালাক্সি সিরিজ’ উন্মোচন হয় ওই বছরই। অন্যদিকে অ্যাপল আইফোনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, যা কোম্পানির আয়ের একটি প্রধান উৎস। সামগ্রিকভাবে স্মার্টফোন বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখেছে ২০০৯ সাল। এর ঠিক দু’ বছর আগে নকিয়া প্রায় ৫০ শতাংশ বাজার হিস্যা নিয়ে শীর্ষ অবস্থানে ছিল। কিন্তু ২০১৩ সালের মধ্যে তা নেমে দাঁড়ায় ৩ শতাংশে।
অন্যদিকে স্যামসাং স্মার্টফোনের বাজার হিস্যা তিন বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, ২০০৯ সালের মাঝামাঝি ৩ শতাংশ থেকে ২০১২ সালের মাঝে গিয়ে ৩২ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছে। ওই সময় অন্য কোনো প্রতিযোগী এমন দ্রুত প্রবৃদ্ধি দেখাতে পারেনি বলে জানান বাজার বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন বাজার সম্প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্যামসাং বাজারে নিজের শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, স্যামসাংয়ের সাশ্রয়ী থেকে শুরু করে প্রিমিয়াম রেঞ্জ পর্যন্ত বিভিন্ন মডেলের স্মার্টফোন রয়েছে বাজারে। যেমন গ্যালাক্সি এ ও এম বাজেট ফ্রেন্ডলি স্মার্টফোন সিরিজ, অন্যদিকে এস ও জেড সিরিজ তৈরি হয় প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে। ফলে ব্র্যান্ডটি বড় পরিসরের গ্রাহকের কাছে পৌঁছে।