যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে গত মাস থেকে দেশটিতে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, বিলিয়নেয়ার ইলোন মাস্ক চাইলে শর্ট ভিডিও প্লাটফর্মটি কিনতে পারেন। এর পরই নেটিজেনদের জিজ্ঞাসা, মাস্ক সত্যিই টিকটক কিনবেন কিনা। তবে মার্কিন ধনকুবের জানিয়েছেন, প্লাটফর্মটি কেনার কোনো আগ্রহ তার নেই।
গত শনিবার জার্মান একটি সংবাদমাধ্যম ইলোন মাস্কের এ মন্তব্য প্রকাশ করে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি সম্মেলনে অংশ নিয়ে টিকটক কেনার বিষয়ে কথা বলেছিলেন তিনি।
এ সময় মাস্ক বলেন, ‘আমি টিকটকের জন্য কোনো দরপত্র দিইনি। টিকটক কিনলে তা দিয়ে কী করতাম, সে বিষয়েও আমার কোনো পরিকল্পনা নেই।’ তিনি অ্যাপটি ব্যবহার করেন না এবং এর ফরম্যাট সম্পর্কে পরিচিত নন বলেও জানান।
ইলোন মাস্ক বলেন, ‘আমি সাধারণত বিদ্যমান প্রতিষ্ঠান কিনি না, বরং নতুন কোম্পানি তৈরি করি।’ তিনি বলেন, ‘টুইটার (বর্তমানে ‘এক্স’) কেনা ছিল ব্যতিক্রম।’
গত ১৯ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক অ্যাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করার সময়সীমা পিছিয়ে দেন। এর আগে বাইটড্যান্সকে জানানো হয়েছিল, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রস্থ সম্পদ বিক্রি না করলে অ্যাপটি নিষিদ্ধ হবে।
আইনপ্রণেতারা আশঙ্কা করছেন, চীন সরকার বাইটড্যান্সের কাছ থেকে মার্কিন ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে। তবে টিকটক বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। প্লাটফর্মটির দাবি, তারা কখনো ব্যবহারকারীদের তথ্য শেয়ার করেনি বা ভবিষ্যতেও করবে না।
এদিকে নতুন আইন কার্যকর হওয়ায় অ্যাপল ও গুগল তাদের অ্যাপ স্টোরে টিকটককে পুনঃস্থাপন করেনি। তবে বিকল্প পদ্ধতিতে অ্যাপ ডাউনলোডের অপশন চালু করেছে প্লাটফর্মটি। গত শুক্রবার ঘোষণা দেয়া হয়, মার্কিন অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডাউনলোড ও টিকটকে যুক্ত হতে পারবেন।