টিকটক এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) যৌথভাবে প্রথমবারের মতো আজ ঢাকায় ডিজিটাল সেফটি সামিট বাংলাদেশ ২০২৫ এর আয়োজন করেছিল। নিরাপদ এবং দায়িত্বশীল অনলাইন পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে এই সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়। এই সামিটে উপস্থিত ছিলেন অনলাইন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটররা।
বাংলাদেশের তরুণদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় এই সম্মেলনটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। অনলাইন নিরাপত্তা, ডিজিটাল সাক্ষরতা, ভুল তথ্য মোকাবিলা এবং সঠিক ডিজিটাল অভ্যাস গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
টিকটকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট রিলেশনস এর প্রধান ফেরদৌস আল মুত্তাকিন ডিজিটাল সুরক্ষার গুরুত্ব এবং এ বিষয়ে টিকটকের ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “টিকটক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার দিকে আমরা সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেই। আমরা বিশ্বাস করি যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিশেষজ্ঞ এবং আমাদের কমিউনিটির সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব, যেখানে তারা স্বাধীনভাবে ও দায়িত্বশীলতার সাথে নিজেদের প্রকাশ করতে পারবে।”
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী, ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি (অব.) ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, “ডিজিটাল মাধ্যমেগুলো দ্রুত বিকশিত হওয়ার সাথে সাথে আমাদের অনলাইন কমিউনিটি, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মের সাথে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা দায়িত্বশীল ডিজিটাল আচরণ গড়ে তোলা, সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সকল বাংলাদেশির জন্য একটি নিরাপদ ডিজিটাল সিস্টেম তৈরি করতে চাই।”
এছাড়া, প্যানেল আলোচনায় সরকারি প্রতিষ্ঠান, প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞ এবং ডিজিটাল ইনফ্লুরন্সাররা অনলাইন নিরাপত্তা, দায়িত্বশীল কনটেন্ট তৈরি এবং সাইবার হুমকি মোকাবিলার কৌশল সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ তুলে ধরেন। সামিটে টিকটকের সর্বশেষ নিরাপত্তা বা সেফটি ফিচার, শিক্ষামূলক উদ্যোগ এবং বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে বিটিআরসি’র সাথে টিকটকের কার্যক্রমও তুলে ধরা হয়।