স্মার্টফোন বিভিন্ন ধরনের স্টোরেজে পাওয়া যায়। এর মধ্যে জনপ্রিয় হলো- ১২৮ জিবি, ২৫৬ জিবি এবং ৫১২ জিবি। এখন পশ্ন হলো ফোনের ইন্টারন্যাল স্টোরেজ ঠিক কতখানি হতে হবে? কত স্টোরেজের ফোন কেনা উচিত? ১২৮ জিবি স্টোরেজের চেয়ে কম স্টোরেজের ফোন এখন না কেনাই উচিত। কেননা, বর্তমানে মোবাইলের ব্যবহার শুধুই ফোনে কথা বলার জন্যই নয়, ডেটা স্টোরেজের ক্ষেত্রেও বিরাট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷
সেক্ষেত্রে ১২৮ জিবি স্টোরেজের কম ভার্সনের ফোন কিনলে স্টোরেজ তাড়াতাড়ি ফুল হয়ে যেতে পারে। স্মার্টফোনের স্টোরেজের এক বড় সিস্টেম ফাইল অপারেটিং সিস্টেমের জন্য চলে যায় ৷ যদি ১২৮ স্টোরেজ ব্যবহার করা হয় ৷
এতে ২২ থেকে ২৪ পর্যন্ত স্টোরেজ সিস্টেমে, তবুও সিস্টেম দৌড়াচ্ছে। তারপরে অবশিষ্ট থাকে ১০৩-১০৬ জিবি স্টোরেজ ৷ ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও একটি চ্যালেঞ্জ হল গেম ইনস্টল করা। কেননা, এই ধরনের গেমের প্রতি অনেকেই আসক্ত হয়ে পড়েছেন ৷ যা ফোনের স্টোরেজ নিয়ে বসে আছে ৷ বিজিএমআই বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গেমের সাইজ অনেক। এই ধরনের দু-তিনটি গেম ইনস্টল করলে স্টোরেজ শেষ হয়ে যাবে ৷
হাই রেজুলেশনের গেম বড় নয়, ছবি ও ভিডিওর সাইজ একটু কম ৷ ফটোগ্রাফির জন্য ফোনে অত্যন্ত ভালো মানের ক্যামেরা থাকে ৷ যাতে হাই কোয়ালিটির ছবি তোলা হয় ৷
ক্যামেরার কোয়ালিটি এমন যে ডিএসএলআর ক্যামেরার সঙ্গে টক্কর দিতে পারে ৷ হাই কোয়ালিটির ছবি তুলতে অত্যন্ত পরিমাণে ভাল লাগে ৷ কিন্তু একটি ভালো রেজুলেশনের ছবি ১০-১৫ জিবি পর্যন্ত হয়। এর ফলে ভালো কোয়ালিটির ভিডিও রেকর্ড করলে কমপক্ষে ১ জিবি জায়গা নিয়ে থাকে ৷ ১২৮ জিবি খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় ৷
নানান রকমের অ্যাপ থাকে সেটে ৷ অনালাইন শপিং, বিনোদন থেকে শুরু করে বাচ্চাদের স্কুলের টাকা ও অফিসের কাজের ক্ষেত্রে নানান অ্যাপ কাজে লাগে ৷ এর ফলে ফোনের আরও অনেক স্টোরেজ শেষ হয়ে যায় ৷ এরপরেও ফোনের স্টোরেজের সমস্যা হতে পারে ৷
ফোনে ১২৮ জিবির বদলে ঠিক কতখানি স্টোরেজ রাখা উচিৎ ৷ ১২৮ জিবি ফোন তাদের জন্যই ভালো ৷ যাদের কোনও কিছুই বেশি স্টোরেজ করতে হয় না ৷ যাদের কল, মেসেজ করা ইন্টারনেট ব্যবহার করার মত সাধারণ প্রয়োজনীয়তা থাকে সেক্ষেত্ ১২৮ জিবই যথেষ্ট ৷