স্মার্টওয়াচ ও স্মার্ট ব্যান্ড হচ্ছে জনপ্রিয় দুটি পরিধেয় ডিভাইস। ঘড়ি হিসেবে এগুলোর মধ্যে মিল থাকলেও, অন্যান্য ফিচারে রয়েছে পার্থক্য। এজন্য প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে বিকল্প বেছে নেয়া জরুরি। স্মার্টওয়াচে অনেক ধরনের ফিচার রয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে সিম ব্যবহার করে ফোনের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা সম্ভব। অন্যদিকে স্মার্ট ব্যান্ডে মূলত ফিটনেস ট্র্যাকিংয়ে বেশি মনোযোগ দেয়া হয়েছে, তবে এতে স্মার্টওয়াচের কিছু ফিচারও পাওয়া যাবে। একইভাবে স্মার্টওয়াচে ফিটনেস ট্র্যাকিং সুবিধা ব্যবহার করা যায়। দামের ক্ষেত্রে স্মার্ট ব্যান্ড তুলনামূলক সাশ্রয়ী ও ওজনেও হালকা। এজন্য কোনটা কেনা হবে সে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে পরিধেয় ডিভাইস দুটির পার্থক্য সম্পর্কে ধারণা রাখা জরুরি।
ডিজাইন ও ডিসপ্লে
স্মার্টওয়াচের স্ক্রিন স্মার্ট ব্যান্ডের তুলনায় বড়। এতে নোটিফিকেশন, মেসেজ ও অ্যাপ সহজে দেখা যায়। স্মার্টওয়াচের রেজল্যুশন ও ব্রাইটনেসও সাধারণত উন্নত থাকে। তবে ডিভাইসটি কিছুটা ভারী হয়। স্মার্টওয়াচে কাস্টমাইজেবল ওয়াচ ফেস ও স্ট্র্যাপ পাল্টানোর অপশন থাকায় আরো বেশি স্টাইল অপশন পাওয়া যায়। স্মার্ট ব্যান্ড সাধারণত ছোট, হালকা ও সরল ডিজাইনের হয়ে থাকে। এগুলো সাধারণত সিলিকন বা রাবার স্ট্র্যাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
কার্যকারিতা ও ফিচার
স্মার্টওয়াচ ও স্মার্ট ব্যান্ড উভয়ই ফিটনেস ট্র্যাক করতে সক্ষম। হাঁটা, দৌড়, হৃদস্পন্দন, দূরত্ব, ঘুমসহ আরো কয়েকটি শরীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ মাপতে পারে। এ তথ্য ফোনের অ্যাপের সঙ্গে সিঙ্ক করে পরিপূর্ণভাবে দেখা যায়। স্মার্টওয়াচে আরো বেশি ফিচার থাকে, যেমন মিউজিক স্ট্রিমিং, নেভিগেশন, কন্টাক্টলেস পেমেন্ট ও উন্নত স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ। স্মার্ট ব্যান্ড প্রধানত ফিটনেস ট্র্যাকিং-কেন্দ্রিক ফিচার সরবরাহ করে। সাধারণ ইন্টারফেসের সাহায্যে এ তথ্য খুব সহজে দেখা যায়।
ব্যাটারি ব্যাকআপ ও দাম
স্মার্ট ব্যান্ডগুলো স্মার্টওয়াচের চেয়ে অনেক বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ দেয়। উদাহরণস্বরূপ, ফিটবিট চার্জ ৬ প্রায় সাতদিন পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ দেয়। অ্যাপল ওয়াচ এসই মোটামুটি ১৮ ঘণ্টা চলতে পারে। স্মার্ট ব্যান্ডগুলো সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়। ফিটবিট ইনস্পায়ার ৩-এর দাম ৯৯ ডলার ৯৫ সেন্ট। অন্যদিকে স্যামসাং গ্যালাক্সি ওয়াচ ৭-এর দাম ২৯৯ ডলার ৯৯ সেন্ট।
কমে আসছে পার্থক্য
গত কয়েক বছর স্মার্টওয়াচ ও স্মার্ট ব্যান্ডের মধ্যে পার্থক্য অনেকটাই কমে এসেছে। স্মার্টওয়াচে স্মার্টফোনের মতো ফিচার পাওয়া যায়। স্মার্ট ব্যান্ডগুলো প্রধানত ফিটনেস ট্র্যাকিং-কেন্দ্রিক। বর্তমানে আমাজফিট অ্যাকটিভ ২-এর মতো ডিভাইসগুলো স্মার্টওয়াচের মতো ফিচার অফার করে, তবে ব্যাটারি লাইফ প্রায় ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ৩ ও গার্মিন ভেনু ৩-সহ কিছু স্মার্টওয়াচ ব্যাটারি লাইফে উন্নতি করছে।