গুগল প্লে স্টোরে এমন বহু অ্যানড্রয়েড অ্যাপস রয়েছে, যেগুলো প্রচুর বার ডাউনলোড করা হয়েছে। অথচ সেগুলো কিন্তু আসলেই বিপজ্জনক। এবার সেই বিপজ্জনক অ্যাপসগুলো সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। আর সেগুলো যাতে ব্যবহারকারীরা ব্যবহার না করেন, তার জন্য সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
অ্যানড্রয়েড ১৩-এর কড়া সিকিউরিটি ফিচারকে উপেক্ষা করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে তিনশোটিরও বেশি অ্যাপ। এদিকে এগুলোকে বিশ্বাস করে বসে আছেন বহু ব্যবহারকারীই। এর মূল কারণ হল, ব্যবহারকারীরা তো প্রকৃত জায়গা থেকেই এগুলো ইনস্টল করছেন।
কিন্তু যখন অ্যাপসগুলো ভুলভাল কাজ করছে এবং ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটা চুরি করার পাশাপাশি তাদের টাকাপয়সা চুরি করছে, তখন তো সতর্কতা অবলম্বন করতেই হয়।
অ্যানড্রয়েড অ্যাপসের নিরাপত্তা সমস্যা আছেই
গুগলের পক্ষে বারবার বলা হয়েছে যে, তাদের অ্যাপ স্টোরের সিকিউরিটি জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তারা বেশিরভাগ বিপজ্জনক অথবা ভুয়ো অ্যাপ ব্লক করে দিয়েছে। যদিও ৩৩০টি অ্যাপের তালিকা দিয়েছে সিকিউরিটি বিট ডিফেন্ডার। তবে ইতিমধ্যেই সেগুলো অবশ্য প্লে স্টোর থেকে রিমুভ করা হয়েছে।
আজকাল হ্যাকাররাও উন্নতি করেছে। ফলে তারা এমন সব অ্যাপ নিয়ে আসছে, যা শুধুমাত্র প্রকৃত অ্যাপসগুলোর নকল নয়, এমনকি খালি চোখে সেগুলো ধরাও পড়বে না। ফলে সাধারণ ব্যবহারকারীরা বুঝতেই পারেন না যে, তাদের ডিভাইসকে টার্গেট করা হচ্ছে কি না। ওই ফার্মের পক্ষে আরও ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, গুগলেও যদি কোনও বিষয়ে পরীক্ষা করা হয়, তাহলে এই অ্যাপসগুলো সাধারণ ভাবেই কাজ করে।
তবে এরপর ধীরে ধীরে এই অ্যাপসগুলোতে ম্যালিশাস ফিচার ঢুকিয়ে দিচ্ছে হ্যাকাররা। আর পেছনে তারা নিজেদের নোংরা খেলাটা চালিয়ে যাচ্ছে। এই সন্দেহজনক অ্যাপগুলি ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য পর্যন্ত নিয়ে নিতে পারে। যেটা একেবারেই ভালো লক্ষণ নয়।
এখনই ডিলিট না করলেই বিপদ- এই ধরনের অ্যাটাকের সবথেকে বড় বিষয় হল যে, এই অ্যাপসগুলো সাধারণভাবে প্রাথমিক এবং ব্যবহারযোগ্য উদ্দেশ্য প্রদান করে। সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটি ফার্মের বক্তব্য, এই ম্যালিশাস অ্যাপসগুলো বিভিন্ন ধরনের ফিচার অফার করে।
এর মধ্যে অন্যতম হল এক্সপেন্স ট্র্যাকিং, কিউআর স্ক্যানিং, হেলথ ট্র্যাকিং এবং আরও অনেক কিছু।
১. AquaTracker ২. ClickSave Downloader ৩. Scan Hawk ৪. Water Time Tracker Be More ৫. TranslateScan
জনপ্রিয় অ্যাপসগুলোর মধ্যেই রয়েছে উপরোক্ত অ্যাপস। ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ যা ডাউনলোডও করেছেন। কিন্তু এগুলোকে বিপজ্জনক বলে দাগিয়েছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
এমনকি ফার্মের পক্ষে এও জানানো হয়েছে যে, অক্টোবর ২০২৪ থেকে জানুয়ারি ২০২৫-এর মধ্যে প্লে স্টোরে এই অ্যাপসগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।