বাইটডান্স (ByteDance) প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইমিং চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির স্থান দখল করেছেন। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৭.৫ বিলিয়ন ডলার, যা তাকে চীনের শীর্ষ ধনীতে পরিণত করেছে। টিকটকের (TikTok) ব্যাপক সাফল্যই তার এই উত্থানের প্রধান কারণ।
১৯৮৩ সালের ১লা এপ্রিল চীনের ফুজিয়ানের লংইয়ান শহরে জন্ম নেওয়া ঝাং ইমিং নানকাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইক্রোইলেকট্রনিকস ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
পড়াশোনা শেষে তিনি কুকসান (Kuxun) এবং মাইক্রোসফট (Microsoft)-এ কাজ করেন। তবে কর্পোরেট ক্যারিয়ারের বদলে নিজের উদ্যোগ গড়ার স্বপ্ন থেকেই তিনি ২০১২ সালে বাইটডান্স প্রতিষ্ঠা করেন।
ঝাং ইমিং প্রথমে সংবাদভিত্তিক অ্যাপ তৌতিয়াও (Toutiao) চালু করেন। তবে প্রকৃত সাফল্য আসে ২০১৬ সালে, যখন চীনে তিনি ‘দৌইন’ (Douyin) নামে একটি শর্ট-ভিডিও প্ল্যাটফর্ম চালু করেন, যা পরে আন্তর্জাতিকভাবে টিকটক নামে আত্মপ্রকাশ করে।
টিকটক দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে এর ১৭০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মই ঝাং ইমিংকে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী প্রযুক্তি উদ্যোক্তায় পরিণত করেছে।
২০২১ সালে ঝাং ইমিং বাইটডান্সের সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তবে তিনি এখনো কোম্পানির কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
টিকটক যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। মার্কিন সরকার প্ল্যাটফর্মটি নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়েছে, যা বাইটডান্সের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঝাং ইমিং-এর সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হলো উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা ও প্রযুক্তির প্রতি গভীর আগ্রহ। তার নেতৃত্বে বাইটডান্স এমন একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে, যা কনটেন্ট তৈরির ধরনই বদলে দিয়েছে।
ঝাং ইমিং-এর উত্থান দেখিয়ে দেয়, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগ কীভাবে বিশাল সম্পদ ও বৈশ্বিক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। যদিও তিনি এখন কিছুটা অন্তরালে রয়েছেন, তবে তার কোম্পানি বাইটডান্স বিশ্ব প্রযুক্তিখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
ঝাং ইমিং-এর সাফল্য প্রমাণ করে যে সঠিক উদ্ভাবন, দূরদৃষ্টি ও প্রযুক্তির কার্যকর প্রয়োগ একজন উদ্যোক্তাকে কীভাবে শূন্য থেকে শীর্ষে নিয়ে যেতে পারে।
আপনি যদি প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও স্টার্টআপ বিষয়ে আপডেট থাকতে চান, তাহলে আমাদের ফলো করুন এবং নিয়মিত পড়ুন বিশ্ব প্রযুক্তি ও ব্যবসার বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন।