বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি আর্টেমিস অ্যাকর্ড-এ সই করেছে, যা মহাকাশ গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এ পদক্ষেপটি দেশের তরুণ উদ্ভাবকদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির সুযোগ সৃষ্টি করেছে, যা নাসা-এর পক্ষ থেকে অভিনন্দন পেয়েছে।
নাসা-এর অ্যাক্টিং অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জ্যানেট পেট্রো-এর পক্ষে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-এর গ্লোবাল কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট টিমের অ্যালিসন জেমস এক বিশেষ ই-মেইলে বাংলাদেশের তরুণ উদ্ভাবকদের প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের তরুণ মনগুলো তাদের মহাকাশ গবেষণা অন্বেষণের প্রতি যে আবেগ ও উৎসাহ দেখিয়েছে, তা বিশ্ববাসীকে মুগ্ধ করেছে।”
গত ৬ বছরে, বাংলাদেশ চারবার নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-এ গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। টিম অলিক, টিম মহাকাশ, টিম ডায়মন্ডস, এবং টিম ভয়েজার্স তাদের নিজস্ব গবেষণায় অসাধারণ সফলতা অর্জন করেছে, যা বাংলাদেশের তরুণদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
বেসিস (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস) এই সাফল্যকে একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে দেখছে। তারা ২০১৪ সাল থেকে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ আয়োজন করে আসছে এবং প্রতিনিয়ত অর্থায়ন, রিসোর্স প্রদান ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণ সহ প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। এর ফলস্বরূপ, বাংলাদেশের তরুণরা বিশ্বের মধ্যে নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তি দেখাতে সক্ষম হয়েছে।
বেসিস সহায়ক কমিটির চেয়ারম্যান রাফেল কবির বলেছেন, “যখন দেখি বাংলাদেশের কেউ নাসাতে গিয়ে দেশের পতাকা তুলে ধরে, সেটা আমাদের গর্বিত করে তোলে।” তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের তরুণ সমাজকে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে আরও উদ্ভাবনী হতে উৎসাহিত করবে এবং ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে বিজ্ঞানী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা জন্মাবে।”
নাসা-এর অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা বার্তা বাংলাদেশি উদ্ভাবকদের জন্য একটি নতুন অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে এবং দেশকে মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তিতে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।