তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোগে সহায়তা দিতে বগুড়া ও ফেনীতে স্থাপন করা হচ্ছে আধুনিক আইসিটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার।
উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তত্ত্বাবধানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডিজিটাল উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করতে এই সেন্টারগুলো প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে স্থানীয় তরুণ-তরুণীরা প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ পাবেন এবং স্টার্টআপ বা উদ্যোক্তা কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন।
কী থাকবে ইনকিউবেশন সেন্টারে?
আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব
সফটওয়্যার ও অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং
উদ্যোক্তা পরামর্শ ও মেন্টরিং
কো-ওয়ার্কিং স্পেস
হাই-স্পিড ইন্টারনেট ও ক্লাউড ফ্যাসিলিটি
সরকারি-বেসরকারি পার্টনারশিপের সুযোগ
স্টার্টআপ সংস্কৃতির প্রসার ঘটবে
স্থানীয় পর্যায়ে এই ইনকিউবেশন সেন্টারগুলো চালু হলে প্রযুক্তিভিত্তিক স্টার্টআপ তৈরি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং আত্মকর্মসংস্থানে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, গুড়া ও ফেনীতে আইসিটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বিগত দেড় যুগের আওয়ামী দুঃশাসনে শুধুমাত্র রাজনৈতিক দল, কর্মকর্তা নয় বরং কিছু অঞ্চলকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে বিএনপি প্রধান অঞ্চল যেমন বগুড়া, ফেনী রয়েছে তেমনি রয়েছে দরিদ্র প্রধান অঞ্চল যেমন কুড়িগ্রাম/লালমনিরহাট। আছে সীমান্তবর্তী কিংবা উপকূলীয় এলাকা সাতক্ষীরা, বরগুনা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, পঞ্চগড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ। বিপরীতে আইসিটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারগুলো কন্সেন্ট্রেট করা হয়েছে প্রবাশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের এলাকায়। এর মধ্যে বগুড়া কোনো লিস্টেই ছিল না। ফেনী একবার লিস্টে উঠেছে, পরে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আমরা এই পলিটিক্যাল সিলেকশন ব্যবস্থা ভাঙছি।