ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। মুদ্রাটি কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে কাজ করে না ও ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে লেনদেন সম্পন্ন হয়।
পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন বছরে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৩০ কোটির বেশি। ২০২১ সালে ক্রিপ্টো ব্যবহারকারী ছিল প্রায় ৩০ কোটি, যা গত বছর বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৬২ কোটিতে। এ পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করা হয়েছে, তবে বর্তমানে এর মধ্যে সক্রিয় রয়েছে ৫০ শতাংশ।
কী এই ক্রিপ্টোকারেন্সি?
ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল মুদ্রা, যা কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে নয়। এটি ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে সুরক্ষিত এবং স্বচ্ছ লেনদেনের সুযোগ তৈরি করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন— “ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারে ঝুঁকি থাকলেও, স্বচ্ছতা, গ্লোবাল এক্সেস ও দ্রুত লেনদেন সুবিধার কারণে তরুণ প্রজন্ম এর প্রতি ঝুঁকছে।”
কতগুলো ক্রিপ্টো চলছে?
বর্তমানে বাজারে রয়েছে
🔸 ২০,০০০+ ক্রিপ্টোকারেন্সি
🔸 তবে এর মধ্যে সক্রিয় রয়েছে মাত্র ৫০%, বাকিগুলো হয় একীভূত হয়েছে বা বন্ধ হয়ে গেছে।
ক্রিপ্টোর উত্থানের কারণ:
✅ বিকেন্দ্রীকরণ (Decentralization)
✅ সরকার বা ব্যাংকের হস্তক্ষেপ নেই
✅ আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজ
✅ ব্লকচেইন ভিত্তিক নিরাপত্তা
চ্যালেঞ্জ ও বিতর্ক:
❗ মূল্য অস্থিরতা
❗ জালিয়াতির ঝুঁকি
❗ কিছু দেশে আইনগত নিষেধাজ্ঞা
❗ পরিবেশগত প্রভাব (বিটকয়েন মাইনিং ইত্যাদি)