বাংলাদেশের বাজারে প্রচলিত আইফোনের ৯৬ শতাংশই অবৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বৈধ পথে অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটর ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে খুব সামান্য সংখ্যক আইফোন প্রবেশ করেছে। অভিযোগ রয়েছে দেশের উচ্চবিত্তদের সুবিধা দিতে অবৈধভাবে আমদানি করা ফোন ব্যবহার বন্ধ হচ্ছেনা ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বৈধতা না থাকায় এসব আইফোনে ওয়্যারেন্টি সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। একইসঙ্গে ব্যবহারকারীরা সফটওয়্যার আপডেট, অফিশিয়াল সাপোর্ট এবং নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির মুখে পড়ছেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, ইন্টারনেটে এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) ছাড়া আনা এসব ডিভাইস অবৈধ। চলতি বছর এনওসি অনুমোদন পাওয়া আইফোনের সংখ্যা যেখানে মাত্র কয়েক হাজার, সেখানে বিক্রিত আইফোনের সংখ্যা লক্ষাধিক ছাড়িয়েছে।
বাজারে বিক্রি হওয়া ১০০টি আইফোনের মধ্যে ৯৬টিই অবৈধ। অন্যান্য ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ৩৫টি। বর্তমানে বছরে প্রায় ২ লাখের মতো আইফোন বিক্রি হচ্ছে। যার মাত্র ৮ থেকে ১০ হাজার আসছে বৈধপথে। ৫৭ শতাংশ রাজস্ব দিয়ে আইফোন আমদানি করে ৩টি প্রতিষ্ঠান; যার মধ্যে রয়েছে সেলেক্সট্রা লিমিটেড, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার এবং এক্সিকিউটিভ মেশিন।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ কর, আমদানির জটিলতা এবং অতিরিক্ত দাম মূলত অবৈধ আইফোন প্রবাহের বড় কারণ। ফলে ক্রেতারা অপেক্ষাকৃত কম দামে আইফোন কিনতে গিয়ে বৈধতার বিষয়টি উপেক্ষা করছেন। প্রযুক্তিগত দুর্বলতা, বাস্তবায়নের অনীহা এবং আইনগত ফাঁকফোকরের কারণেই অবৈধ ফোন বন্ধে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হচ্ছে না।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, নতুন করে নীতিমালা হালনাগাদ এবং অবৈধ ফোন শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে কার্যকর মনিটরিং ও আইনি ব্যবস্থা ছাড়া কেবল ঘোষণায় ফল আসবে না বলেই মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা।
দেশে অবৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বাড়লেও এখনো তা পুরোপুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট মহলের ভাষ্য, প্রযুক্তিগত দুর্বলতা, বাস্তবায়নের অনীহা এবং আইনগত ফাঁকফোকরের কারণেই অবৈধ ফোন বন্ধে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হচ্ছে না।