অনলাইন জুয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সেলিব্রিটিদের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মূলধারার গণমাধ্যমে অনলাইন জুয়া ও বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপন এবং প্রচার বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে সাত সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রাজধানীর কাকরাইলের বাসিন্দা তানজিম রাফিদের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে রোববার (২৭ এপ্রিল) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহিন এম রহমান। তিনি জানান, সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে একটি তদন্ত পরিচালনা করবে। ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত করবে। তারা বের করবে কীভাবে এটা পরিচালিত হচ্ছে। কারা কারা জড়িত। এবং এটাকে রোধ করতে কি কি প্রয়োজন। তদন্ত করে ৯০ দিনের মধ্যে সাবমিট করতে হবে। এরপর কোর্ট পরবর্তী আদেশ দেবেন।
এছাড়াও রুলে সংবিধানে ১৮ (২) ও ৩১ অনুচ্ছেদ, সংশ্লিষ্ট আইনের বিধিবিধান লঙ্ঘন করে জনপ্রিয় তারকাদের মাধ্যমে কোনো সামাজিক ও মূলধারার মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মে অনলাইন জুয়া/বেটিং গেম প্রচারের বিস্তার রোধে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং অনলাইন জুয়া/বেটিং গেমের বিজ্ঞাপন প্রচারের বিস্তার বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল সেলিব্রিটিদের দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মূলধারার গণমাধ্যমে অনলাইন জুয়া ও বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপন এবং প্রচার বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ নেওয়ার জন্যে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম রাফিদ এই রিট আবেদনটি দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।
আবেদনে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্থায়ী সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য সরকারকে নির্দেশ দিতে হাইকোর্টের প্রতি অনুরোধ জানানো হলো। বিষয়টি নিয়ে আইনজীবী মাহিন এম রহমান বলেন, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান অনুযায়ী জুয়া ও বেটিং নিষিদ্ধ।