রাজধানীতে ক্রমবর্ধমান ছিনতাই রোধে ডাটাবেজ বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন অপরাধীচক্রের নামধাম শনাক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম। একই সঙ্গে শনাক্তকৃত চক্রগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
রবিবার (১১ মে) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এই কর্মকর্তা।
মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, ক্রিমিনাল ডাটাবেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ছিনতাইকারী চক্র শনাক্ত করেছি। চক্রগুলোকে ধরতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে ডিবি ও থানা পুলিশ।
গত তিন মাসে ছিনতাইবিরোধী অভিযানে উল্লেখযোগ্য সফলতার কথাও তুলে ধরে অক্টোবর মাসে ৯৮ জন, নভেম্বর মাসে ১৪৮ জন এবং ডিসেম্বর মাসে ৫৬৪ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসের প্রথম এগারো দিনে আরো ৩৭৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডিবি জানায়, সম্প্রতি রাজধানী ও আশপাশের জেলায় ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় মামলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এচলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডিবি ডাকাত চক্রের মোট ৮৭ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এতে ঢাকা মহানগর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ডাকাতি বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। ধরনের কার্যক্রম করতে গিয়ে সারা বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি বিশেষ ধরনের ডাকাত চক্রের সন্ধান পায় ডিবি। যাদের মূল লক্ষ্য স্বর্ণের দোকান ডাকাতি করা। এক্ষেত্রে ডাকাতি কার্যক্রম সংঘটনের আগে তারা রেকি করে এবং ডাকাতি কাজে অস্ত্র গোলাবারুদ ব্যবহার করে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে আসে। ফলে সমগ্র বাংলাদেশের এ ধরনের আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্যদের গতিবিধির ওপর ডিবির গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।