বিশ্বব্যাপী ২০৩০ সালের মধ্যে বিভিন্ন ডিভাইসে ই-সিম সংযোগের সংখ্যা ৪৫০ কোটিতে পৌঁছাবে। অর্থাৎ আগামী পাঁচ বছরে ৭৫ শতাংশ স্মার্টফোনে ই-সিম থাকবে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০ কোটির মতো। সংযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যালেইডো ইন্টেলিজেন্সের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
ক্যালেইডো ইন্টেলিজেন্সের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মার্টফোনে ই-সিম প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। এছাড়া চলতি বছর থেকে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) ডিভাইসের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ই-সিম বাজারে আসবে। এটি ই-সিম প্রযুক্তির জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা বলেই মনে করছেন তারা। একই সঙ্গে স্মার্টফোন বাজারে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ই-সিম। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ স্মার্টফোনে এ প্রযুক্তি সচল থাকবে।
এদিকে চীনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সম্প্রতি দেশটির স্মার্টফোনে ই-সিম ব্যবহারের নিয়ম শিথিল করেছে, যা প্রযুক্তিটির বিস্তারে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে ধরা হচ্ছে। ফলে এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সীমিত আকারে প্রথম ই-সিম-চালিত স্মার্টফোন বাজারে আসবে। দেশটিতে ই-সিমের সুবিধাযুক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার বা বাজারজাত করা আগে সহজ ছিল না। বিশ্লেষকদের মতে, চীনে ই-সিম ব্যবহারের অনুমতি ও বিস্তার ঘটলে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও প্রযুক্তিটির গ্রহণযোগ্যতা ও প্রসার আরো বেড়ে যাবে।
ই-সিম বা ইলেকট্রনিক সিম হলো ডিভাইসের ভেতর সংযুক্ত একটি ডিজিটাল সিম কার্ড। এটি স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ ও আইওটি ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া ই-সিম পরিবর্তন বা নতুন নম্বর চালু করতে কোনো ফিজিক্যাল কার্ড লাগে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফাইভজি নেটওয়ার্কের দ্রুত সম্প্রসারণ ই-সিম বাজারকে বড় আকারে শক্তিশালী করছে। কারণ দ্রুত ইন্টারনেট স্পিড ও বেশি নির্ভরযোগ্য সংযোগ নিশ্চিত করে ফাইভজি প্রযুক্তি। পরিবেশবান্ধব ই-সিম প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আগামী বছরগুলোয় স্মার্ট ডিভাইসে এর ব্যবহার আরো বাড়বে।