২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বড় একটি স্বস্তির ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাজেট বক্তৃতায় তিনি জানিয়েছেন, আগে যেসব সেবা নিতে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দেখানো বাধ্যতামূলক ছিল, সেসবের মধ্যে ৩৩টি সেবা এখন থেকে টিআইএন সার্টিফিকেট ছাড়াই পাওয়া যাবে। শুধু ১২টি সেবার ক্ষেত্রে টিআইএন দেখানো বাধ্যতামূলক থাকবে।
কোন কোন সেবায় লাগবে টিআইএন?
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “বিদ্যমান ৪৫টি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ উপস্থাপনের বাধ্যবাধকতা শিথিল করে ক্রেডিট কার্ডসহ ১২টি সেবা গ্রহণে কেবলমাত্র টিআইএন সার্টিফিকেট দাখিলের বিধান করা হয়েছে।”
এখনো পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এই ১২টি সেবার বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করা হয়নি, তবে অনুমান করা যাচ্ছে—এর মধ্যে থাকতে পারে:
-
ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ
-
গাড়ি রেজিস্ট্রেশন
-
বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনা
-
বড় অংকের ব্যাংক লেনদেন
-
ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স
-
পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন রিলেটেড কিছু কাজ
-
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ ইত্যাদি
এই নীতিমালার বাস্তবায়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) খুব দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
বাজেটের মূল প্রেক্ষাপট
২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। এটি বাংলাদেশের ৫৪তম বাজেট এবং অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট। এবারের বাজেট পেশ করা হয় সংসদ ছাড়াই, রাষ্ট্রীয় টিভি বিটিভি এবং বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে সম্প্রচার করে।
কী প্রভাব ফেলবে এই পরিবর্তন?
এই সিদ্ধান্তে সাধারণ নাগরিক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা যেমন স্বস্তি পাবেন, তেমনি ডিজিটাল ও ক্যাশলেস লেনদেনেও উৎসাহ বাড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
একজন কর বিশেষজ্ঞ বলেন: “রিটার্ন জমা না দিয়ে সেবা গ্রহণের সুযোগ অনেক নতুন করদাতাকে উৎসাহিত করবে, বিশেষ করে যারা এখনো করজালের বাইরে।”