অ্যাপলের ল্যাপটপ ম্যাকবুক প্রো বিস্ফোরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রেডিট ও টুইটারে বেশ আলোচিত হচ্ছে। সাধারণ কাজ করার সময় ল্যাপটপটি বিস্ফোরিত হয় বলে দাবি করেছেন এটির ব্যবহারকারী। খবর ম্যাশেবল।
রেডিটে হোয়াইট পান্ডা ছদ্মনামের ব্যবহারকারীর পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ম্যাকবুকটির দুই পাশ দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে এবং এটির ডিসপ্লের পেছনের অংশের অনেকখানি পুড়ে গেছে। নিচে কাঠের মেঝেতেও পোড়া চিহ্ন রয়েছে।
ম্যাশেবলকে তিনি জানান, বিস্ফোরণের মিনিট দুয়েক পর তিনি এ ভিডিও ধারণ করেন। কোলে নিয়ে কাজ করার সময় ল্যাপটপটির দুই পাশ দিয়ে ধোঁয়া বের হতে থাকে। তিনি ভয়ে দ্রুত মেঝেতে রাখেন। আর তখনই সেটি লাফিয়ে ওঠে। বিস্ফোরণে ল্যাপটপ ও মেঝে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তিনি নিজে এবং তখন বাড়িতে থাকা তার স্ত্রী ও কুকুরটি অক্ষত রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি আরো জানান, ঘটনার পরপরই তিনি ল্যাপটপটি নিয়ে কাছাকাছি অ্যাপলের স্টোরে চলে যান। ল্যাপটপটি রেখে দেয়ার পর পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে কোম্পানির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হবে বলে জানানো হয়।
হোয়াইট পান্ডা বলেন, স্টোর থেকে তাকে নতুন ল্যাপটপ দিতে চাওয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি নিতে রাজি হননি। বিষয়টি নিয়ে আরেকটু ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে চান তিনি। তাছাড়া ওই অভিজ্ঞতার পর তার শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে, মাথাও ধরেছে। এ নিয়ে অ্যাপলের সঙ্গে আবার কথা বলার চিন্তাভাবনা করছেন তিনি।
এ দুর্ঘটনার ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করা হলে অ্যাপলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়।
তবে ম্যাকবুক বিস্ফোরণের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত বছরও ব্যাটারিতে ত্রুটির কারণে ম্যাকবুকের কয়েকটি মডেলে আগুন ধরে যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে অ্যাপল ইনসাইডারের তথ্য-উপাত্ত বলছে, অ্যাপল পণ্যে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা খুবই নগণ্য। এ রকম দুয়েকটি দুর্ঘটনার কারণে অ্যাপলের সুনামের কোনো ক্ষতি হবে না। ২০১৬ সালে স্যামসাংয়ের একটি স্মার্টফোন মডেলে এর চেয়েও ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছিল।