ফাইভজিতে অবদান রাখায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি নির্মাতা পতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত ফাইভজি ওয়ার্ল্ড সামিট-২০১৯-এ ‘বেস্ট ফাইভজি কোর নেটওয়ার্ক টেকনোলজি’ শীর্ষক এই পুরস্কার দেওয়া হয়। হুয়াওয়ের ফাইভজি ইনটেলিজেন্ট অ্যান্ড সিমপ্লিফাইড কোর নেটওয়ার্ক সল্যুশন বিভাগকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
ফাইভজি শিল্প খাতে অনেক পরিবর্তন আনবে এবং এই খাতের নতুন নতুন ব্যবহার ও ব্যবসায়িক ধারণাকে (বিজনেস মডেল) এগিয়ে নিয়ে যাবে। ফাইভজি কোর নেটওয়ার্ক মূল বিষয় হলো এর দ্রুতগামীতা, যা বিভিন্ন মাধ্যমের সাথে মানুষর সংযোগ স্থাপন এবং পৃথক পৃথক ও নিশ্চিত সক্ষমতার নেটওয়ার্ক সেবা সরবরাহ করে। আর এভাবেই ফাইভজি শিল্প খাতে ইন্টারনেট ও ডিজিটাইজেশন নিশ্চিত করবে।
হুয়াওয়ের ফাইভজি ইনটেলিজেন্ট অ্যান্ড সিমপ্লিফাইড কোর নেটওয়ার্ক সল্যুশন সব ধরনের ক্লাউডভিত্তিক প্রযুক্তি সমর্থন করে, যেমন: তিন লেয়ারের ডিকাপলিং, নকশা, ক্রস-ডিসি ডিপ্লয়মেন্ট, মাইক্রোসার্ভিস এবং এ/বি টেস্ট। এই নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে ক্লাউডভিত্তিক, কানেকটিভিটি+ এবং এজ কম্পিউটিং প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে। ফাইভজিতে হুয়াওয়ের এই সল্যুশন শিল্প খাতের প্রথম কোর নেটওয়ার্ক, যা টুজি/থ্রিজি/ফোরজি/ফাইভজি এনএসএ/ফাইভজি এসএ সাপোর্ট করে। এই প্রযুক্তি সিঙ্গেল ভয়েস কোর সিমপ্লিফাইড ভয়েস সল্যুশন এবং সিইউপিএস ভিত্তিক আর্কিটেকচার সরবরাহ করে।
হুয়াওয়ে ক্লাউড কোর নেটওয়ার্ক প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ডিরেক্টর মা লিয়াং বলেন, ‘এই অ্যাওয়ার্ড জিততে পেরে আমরা সম্মানিত। হুয়াওয়ে ফাইভজি কোর নেটওয়ার্ক গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ করে আসছে এবং ফাইভজি প্রযুক্তিতে ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। ক্যারিয়ার ও ইন্ডাস্ট্রির অংশীদারদের সহায়তায় শিল্প খাতের বিভিন্ন ফাইভজি অ্যাপ্লিকেশনের উন্নয়ন, ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এবং ফাইভজির বাণিজ্যিকীকরণে সম্পূর্ণ প্রস্তত হুয়াওয়ে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত হুয়াওয়ে বিশ্বব্যাপী ৪৬টি ফাইভজি চুক্তি করেছে। গ্রাহকদের উন্নয়ন সল্যুশন সরবরাহ করতে ও প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করে যাবে হুয়াওয়ে।