জুনের শেষ নাগাদ জাপানের ওসাকা শহরে অনুষ্ঠেয় জি২০ সম্মেলনের পর চীনা পণ্যে অতিরিক্ত আবগারি শুল্ক কার্যকর করার চিন্তাভাবনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। ওই সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের একটি বৈঠকেরও কথা রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য সম্পর্কিত নানা ইস্যু নিয়ে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক। চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধের এ ডামাডোলের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছেন ট্রাম্পের মেয়ে ও উপদেষ্টা ইভাঙ্কা ট্রাম্প। খবর রয়টার্স।
ইভাঙ্কার ভাষ্যমতে, চীনা পণ্যে অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের লাভ হবে কিনা বা এতে মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ব্যবসায় কেমন প্রভাব পড়তে পারে ট্রাম্প-কুকের বৈঠকে এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
অ্যাপলের সিইও টিম কুক হোয়াইট হাউজের নিয়মিত অতিথি। তিনি প্রশিক্ষণ ও শিক্ষাবিষয়ক নানা উদ্যোগ নিয়ে ইভাঙ্কার সঙ্গে এর আগে কাজ করেছেন। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ ও কর্মস্থল ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে প্রায়ই টিম কুকের নাম উচ্চারণ করেন ট্রাম্প।
বৈঠকের ব্যাপারে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জাড ডির জানান, বিনিয়োগ, অভিবাসন এবং ভার্চুয়াল জগতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার মতো ইস্যু নিয়ে দুজনের মধ্যে আলাপ হয়েছে। অবশ্য অ্যাপলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত চীনের আগ্রাসী ব্যবসানীতি পরিবর্তনে শি জিনপিংকে চাপ দিতেই আবগারি শুল্ক বাড়ানোর হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে সেই সঙ্গে তিনি সমঝোতার দরজাও খোলা রেখেছেন। চীনও পাল্টা শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ফলে এতে উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।