ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, যুব সমাজ আমাদের ভবিষ্যত। তাদেরকে আগামীর বাংলাদেশের উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এই ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে তারা বুঝা হয়ে দাঁড়াবে। দেশের অভাবনীয় অগ্রগতির অগ্রযাত্রার চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ৫ বছরে প্রযুক্তিগত দক্ষতা ছাড়া কর্মসংস্থান হবে একটি দুরূহ বিষয়। যোগ্যতা দিয়ে লড়াই করতে হবে এবং যোগ্যতা দিয়েই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। বিশাল তরুণজনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে রূপান্তরের জন্য সরকারের পাশাপাশি যুবসংগঠকদের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃহত্তর ময়মনসিংহ যুব সমিতি, ঢাকা‘র উদ্যোগে আয়োজিত বার্ষিক সাধারণ সভা ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই আহ্বান জানান।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম সভাপতি মোস্তাফা জব্বার গতানুগতিক ধারায় ঈদপুনর্মিলনী কিংবা নৌবিহার বা অন্যকোন বিনোদন মূলক কর্মসূচির পাশাপাশি দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য কর্মসূচি গ্রহণের তাগিদ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, যুব সমাজকে যদি সংগঠিত করতে না পারেন, দক্ষতা তৈরি করতে না পারেন, তা হলে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই সমিতি কোন কাজে আসবে না। যুব সমিতিগুলোতে নেতৃত্ব তৈরির সুযোগ রয়েছে বলেন মন্ত্রী।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাষ্ট্রনায়ক যিনি ২১০০ সালে বাংলাদেশ কেমন হবে এমন একটি রূপকল্প প্রণয়ন করেছেন। ইতোমধ্যে বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ ভিশন ২০৪১, ২০৭১ এবং ঘোষিত হয়েছে উল্লখ করেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
মোস্তাফা জব্বার সরকারের দশ বছরের অগ্রগতির তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলেন, ধানের উৎপাদন, মাছের উৎপাদনবৃদ্ধি, জিডিপি, মাথাপিছু আয়, শিক্ষার হার, গড় আয়ুসহ দেশের প্রতিটি উন্নয়ন সূচকের দিকে তাকালে বাংলাদেশ সকলকে চমকে দেওয়ার অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। যে পাকিস্তান ভেংগে বাংলাদেশ হয়েছে সেই পাকিস্তান কোন উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের সাথে তুলনা করার যোগ্যতা রাখে না উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
১৯৮৭ থেকে যুবসমাজের জন্য প্রতিষ্ঠিত ঢাকার সেগুন বাগিচায় নিজ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে নিজ এলাকার যুবকদেরকে ডেকে এনে বিনা টাকায় প্রশিক্ষণ প্রদানের কথা উল্লেখ করে বিজয় সফট ওয়্যারের জনক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে আমরা যে অঞ্চলে বসবাস করি এই অঞ্চলটি কৃষি নির্ভর। ময়মনসিংহ অঞ্চলের লোকেরা কৃষি এবং হালচাষ ছাড়া আর কিছুই করত না। এই কারণে বৃহত্তর ময়মনসিংহে সেই অর্থে বৃহত্তর শিল্প কারখানার বিকাশ হয়নি। গত দশ বছরে সেই চিত্রও অনেকটাই পাল্টে গেছে। রাজনীতিতে, সাংবাদিকতায়, প্রশাসনে, শিক্ষা- শিল্প – বাণিজ্যে আজকের বৃহত্তর ময়মনসিংহ এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মোল্লা জালাল, সচিবালয়স্থ বৃহত্তর ময়মনসিংহ কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, বৃহত্তর ময়মনসিংহ যুব সমিতি ঢাকা‘র আহ্বায়ক ব্যারিস্টার মতাসিম বিল্লাহ ফারুকী এবং সদস্য সচিব রুজিনা সুলতানা বক্তৃতা করেন।