চীনভিত্তিক হুয়াওয়ে জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে বৈশ্বিক প্রিমিয়াম স্মার্টফোন বাজারে দুই অংকের প্রবৃদ্ধি লাভ করেছে। বিশেষত, ফ্ল্যাগশিপ মেট এবং পি সিরিজের ডিভাইসগুলোর উন্নত ক্যামেরা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি এবং ডিভাইসগুলোর অত্যাধুনিক ডিজাইনের কারণে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দুই অংকের প্রবৃদ্ধির মুখ দেখেছে হুয়াওয়ে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, টানা কয়েক প্রান্তিক ধরে অ্যাপলের আইফোনের সরবরাহ কমছে। ডিভাইসগুলোর চড়া দামই চাহিদা কমার প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। চড়া দামের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি বছর আইফোন হালনাগাদের প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে আইফোনের সরবরাহে। গ্রাহকরা এখন এক আইফোন তিন বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবহার করছেন। অথচ আগে দুই বছরের মধ্যে আইফোন ব্যবহারকারীদের ডিভাইস হালনাগাদ করতে দেখা যেত। একই ডিভাইসগুলোর আয়ুষ্কালও বেড়েছে। একই ডিভাইস টানা কয়েক বছর ব্যবহার করা যাচ্ছে। যে কারণে প্রিমিয়াম স্মার্টফোন বাজারে সরবরাহ কমছে।
বৈশ্বিক বাজারে আইফোনের চাহিদা কমার আরো একটি কারণ হলো চমকপ্রদ প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ঘাটতি। অ্যাপল আইফোনের দশকপূর্তি সংস্করণ ‘আইফোন টেন’ উন্মোচনের পর ডিভাইসকেন্দ্রিক আর কোনো উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন দেখাতে পারেনি। হাতে গোনা কিছু ফিচার ছাড়া পুরনো প্রযুক্তি নতুন আইফোনের মাধ্যমে চালিয়ে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। যে কারণে গ্রাহক পর্যায়ে আবেদন হারাচ্ছে আইফোন।
বিবৃতিতে কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের গবেষণা বিশ্লেষক বরুণ জানান, চীন প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের গুরুত্বপূর্ণ বাজার। দেশটিতে স্মার্টফোনের চাহিদা কমা বৈশ্বিক প্রিমিয়াম স্মার্টফোন বাজারের নাজুক পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পঞ্চম প্রজন্মের দ্রুতগতির মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ফাইভজির বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হচ্ছে। ফাইভজির পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার শুরু হলে প্রিমিয়াম ডিভাইস বাজারে চাহিদা বাড়বে। কারণ ভবিষ্যতে সব প্রিমিয়াম ডিভাইস ফাইভজি সমর্থিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।