বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবনের সর্বত্র গুগলের বিচরণ। শুধু অনলাইনে ভিডিও দেখা কিংবা সেবা ব্যবহার করে যোগাযোগের জন্যই নয়। এর বাইরেও অনেক কিছুর জন্য মানুষ অন্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ে গুগলের ওপর বেশি নির্ভরশীল। বাস্তব জীবনের কার্যক্রমের পাশাপাশি ভার্চুয়ালে কী অনুসন্ধান করেন, আপনার কোন জিনিসগুলো পছন্দ আর কোনগুলো নয়, কিংবা আপনি কোন ওয়েবসাইটে যান, তার সবকিছু জানে গুগল।
গুগল সার্চ
ইন্টারনেটের এ যুগে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে গুগলে অনুসন্ধান করেনি, এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। একজন গ্রাহক সম্পর্কে জানার অন্যতম হাতিয়ার গুগল সার্চ বা অনুসন্ধান ফিচার। কখন এবং কোথায় কোন বিষয়ে অনুসন্ধান করেছেন, তার সব তথ্যই রয়েছে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে। অর্থাৎ একজন গ্রাহকের অনুসন্ধান-সংশ্লিষ্ট সব তথ্য গুগলের হাতে রয়েছে। কেউ চাইলে গুগলের ‘মাই অ্যাক্টিভিটি’ পেজে গিয়ে ‘ওয়েব অ্যান্ড অ্যাপ অ্যাক্টিভিটি’ ট্যাবে ক্লিক করে অনুসন্ধান-সংশ্লিষ্ট তথ্য সংরক্ষণের কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবেন।
ম্যাপ লোকেশন ফিচার
গুগল ম্যাপে একটি টাইমলাইন ফিচার আছে। এখানে একজন ব্যবহারকারী কোথায় কোন স্থান খুঁজে পেতে গুগল ম্যাপ ব্যবহার করেছেন, তার সব তথ্য সংরক্ষিত থাকে। তবে ডিভাইসের লোকেশন হিস্ট্রি ফিচার চালু থাকলেই কেবল ব্যবহারকারীর ভ্রমণ কিংবা কোনো স্থানে যাওয়ার তথ্য সংগ্রহ করতে পারে গুগল। অর্থাৎ গুগলের অ্যান্ড্রয়েড কিংবা অন্য অপারেটিং সিস্টেমচালিত ডিভাইস ব্যবহারকারী শুরু থেকে এ পর্যন্ত কখন কোন স্থানে গেছেন, তার সব তথ্য গুগলে মিলবে। কেউ চাইলে লোকেশন হিস্ট্রি ফিচার অফ রেখে এ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে পারবেন।
প্লে স্টোর
বিশ্বব্যাপী ব্যবহূত স্মার্টফোনের ৯০ শতাংশের বেশি অ্যান্ড্রয়ের অপারেটিং সিস্টেমে চলছে। কাজেই প্রয়োজনীয় নানা অ্যাপের জন্য গুগল প্লে স্টোর ব্যবহার করেনি, এমন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহারকারী খুব কমই আছে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কে কতবার প্লে স্টোরে প্রবেশ করেছেন, কত অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন, তার সব হিস্ট্রি গুগলের কাছে রয়েছে। গ্রাহক সম্পর্কে জানার এ ফিচার বন্ধের কোনো উপায় নেই। কারণ অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করলে প্লে স্টোরে যেতেই হবে।
গুগল ফটোস
আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন এবং গুগল ফটোস ব্যবহারকারী হন, তাহলে গুগল জানে এ পর্যন্ত আপনি কত ছবি ধারণ করেছেন। এখন ছবি সংরক্ষণের জন্য ডিভাইস কিংবা এক্সটার্নাল স্টোরেজ খুব কম মানুষই ব্যবহার করে। বিভিন্ন কোম্পানি নির্দিষ্ট গিগাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ সুবিধা বিনা মূল্যে দিচ্ছে। অর্থাৎ না চাইলেও গুগল ড্রাইভ বা গুগল ফটোসের মতো স্টোরেজ সেবাগুলোর ব্যবহারকারী বাড়ছে।
ক্রোম ব্রাউজার
বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ক্রোম ব্রাউজারের মাধ্যমে একজন গ্রাহক কোন কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন, তার তথ্য সংগ্রহ করে গুগল। অর্থাৎ যেকোনো ডিভাইস থেকে ক্রোম ব্রাউজারে সাইন ইন করা অবস্থায় একজন গ্রাহক কখন কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন, তার সব তথ্য গুগলের হাতে রয়েছে। ক্রোম ব্রাউজারে ওয়েবসাইট হিস্ট্রি-বিষয়ক তথ্য সংরক্ষণের কার্যক্রম বন্ধের কোনো উপায় নেই।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া