রাষ্ট্রীয় মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের নেটওয়ার্ক কভারেজ বৃদ্ধি ও ফাইভজি সেবা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে কোরীয় প্রতিষ্ঠান এলজিইউ প্লাস থেকে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
কোরীয় এ প্রতিষ্ঠানটি গত বছরই এ খাতের উন্নয়নে ১০২ কোটি ডলার ঋণ দিতে চেয়েছিল। সম্প্রতি একটি সভায় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সামনে বিষয়টি তুলে ধরা হলে তিনি এ ব্যাপারে সম্মতি দেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বর্তমানে দেশের মাত্র ৪৮ শতাংশ এলাকায় নেটওয়ার্ক আছে রাষ্ট্রীয় এ মোবাইল ফোন কোম্পানিটির।
অথচ অন্য বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর নেটওয়ার্ক এটির দ্বিগুণ। এ কারণে প্রতিযোগিতায় আমরা পিছিয়ে পড়ছি।
অন্য অপারেটরগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে অবকাঠামোর উন্নয়ন করে টেলিটককে আরও গতিশীল করতে হবে। এ ক্ষেত্রে এলজির এ ঋণ প্রস্তাব আমার কাছে অত্যন্ত ভালো একটি প্রস্তাব বলে মনে হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, খুবই সহজ শর্তে এ ঋণ নেয়া যাবে এবং সুদের হারও খুব কম, মাত্র ৩ শতাংশ। ২৫ বছরে এ ঋণ শোধ করার সুযোগ আছে। এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে আরও আলোচনা করা যাবে বলেও মোস্তাফা জব্বার জানান।
এলজি দেশের দুই কোটি ৪০ লাখ গ্রাহককে সেবা দেয়ার মতো সক্ষমতা গড়ে তুলতে টেলিটকের নেটওয়ার্ক উন্নয়নে অবদান রাখতে চায়।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম টেলিটক থ্রিজি নেটওয়ার্ক চালু করলেও ফোরজির ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে। কিন্তু ফাইভজির ক্ষেত্রে আমরা সবার থেকে এগিয়ে থাকতে চাই।
২০২৩ সালের মধ্যে সরকার টেলিটকের নেটওয়ার্ক ফাইভজিতে উন্নিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
সৌদি টেলিকম কোম্পানিও টেলিটকসহ সাতটি প্রকল্পে অর্থায়ন করার ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আরও বলেন, এক বছর আগে টেলিটকে সর্বসাকল্যে বিনিয়োগ ছিল মাত্র ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অথচ এ সময় গ্রামীণফোনের বিনিয়োগ ছিল ৪০ হাজার কোটি টাকা।