যখন ইন্টারনেটের গতি প্রতি সেকেন্ডে ১ গিগাবিট বা ১ হাজার মেগাবিটের মাইলফলক পেরিয়ে যায়, তখন সেই ইন্টারনেট গতিকে গিগাবিট গতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে কয়েক মিনিটেই একটি এইচডি কোয়ালিটির সিনেমা ডাউনলোড করা সম্ভব। এমনকি স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট দিতে প্রয়োজন হয় কয়েক সেকেন্ড। এমন গিগাবিট গতির ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করছে বিশ্বের ৫১ দেশের ৩৫ কোটির বেশি মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভিয়াভি সলিউশনসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স ও টেলিকম লিড।
প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের ৫১ দেশের ৩৫ কোটি ৪০ লাখ মানুষ গিগাবিট গতির ইন্টারনেটের আওতায় এসেছে। গিগাবিট গতির ইন্টারনেট সেবায় সবচেয়ে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৮ সালের আগস্টে দেশটির ৪০ লাখ মানুষ এ সেবা পেত। বর্তমানে এ সংখ্যা ৬ কোটি ৮৫ লাখে উন্নীত হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়াকে পেছনে ফেলে গিগাবিট গতির ইন্টারনেট সেবাপ্রদানে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসছে চীন। বর্তমানে দেশটির ৬ কোটি ১৫ লাখ ব্যবহারকারী এ সেবা পাচ্ছেন। গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ১০ লাখ। দক্ষিণ কোরিয়ার ৪ কোটি ৬৯ লাখ মানুষ গিগাবিট গতির ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছে। অন্যদিকে স্পেন ও কানাডায় এ সেবার আওতায় রয়েছে যথাক্রমে ৩ কোটি ১ লাখ ও ১ কোটি ৫৯ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।
তবে গিগাবিট ইন্টারনেট সেবা সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে সিঙ্গাপুরের। দেশটির মোট জনসংখ্যা ৫৬ লাখ ৩৮ হাজার ৭০০। তাদের ৯৫ শতাংশই গিগাবিট গতির ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করেন। সম্প্রতি গিগাবিট গতির ইন্টারনেট সেবা চালু করেছে বাহরাইন ও মালয়েশিয়া। এ নিয়ে গত এক বছরে আটটি দেশ এ সেবার আওতায় এসেছে। পঞ্চম প্রজন্মের ফাইভজি পরিষেবা বিস্তৃত হলে আরো অনেক দেশ গিগাবিট গতির ইন্টারনেটের আওতায় আসবে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।