বিদেশ থেকে আসা ফোনকলের জন্য নির্ধারিত কল টার্মিনেশন রেট কমিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। দেড় টাকা থেকে কমিয়ে ৫১ পয়সা প্রতি মিনিট (ডলারের মূল্য ৮৫ টাকা ধরে) নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিটিআরসির এ সিদ্ধান্তের ফলে বিদেশ থেকে বাংলাদেশ ভয়েস কল করার খরচ কমানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। গ্রাহকের খরচ কমবে কি না, তা নির্ভর করবে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) অপারেটরদের ওপর। তারা সর্বনিম্ন রেট অনুযায়ী কল আনলেই গ্রাহক সুবিধা পাবেন।
গত কয়েক বছর ধরে বৈধ পথে কল আসার পরিমাণ ধারাবাহিক কমছে। বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে বৈধ পথে ৩ হাজার ৫৫০ কোটি মিনিট কল এসেছিল। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা ১ হাজার ২১৩ কোটি মিনিটে নেমেছে।
অবৈধ ভিওআইপি এবং হোয়াটসঅ্যাপ, ইমোর মতো ওভার দ্য টপ সেবার কারণ এটা কমছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিটিআরসির নতুন নির্ধারিত রেটের হিসেবে আইজিডব্লিউ অপারেটররা যদি কল রেট কমিয়ে দেয় তাহলে বৈধ পথে বিদেশ থেকে কল আসার পরিমাণ বাড়তে পারে।
বিটিআরসি গত বৃহস্পতিবার ইনকামিং কল টার্মিনেশন রেট পুনর্র্নিধারণ করে আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ) সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে চিঠি দেয়। বিটিআরসির উপপরিচালক (সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ) সাবিনা ইসলামের সই করা চিঠিতে বলা হয়, এখন থেকে ফ্লোর রেটের (যে দরে কল আনা হয়) ভিত্তিতে রাজস্ব ভাগাভাগি হবে।
বৈধ পথে বিদেশ থেকে যেসব কল আসে তার আয় বিটিআরসি, আইজিডব্লিউ অপারেটর, ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স) এবং গ্রাহকের অপারেটর, তথা মোবাইল ফোন ও টেলিফোন অপারেটরদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়। বৈধ পথে কল করার খরচ যখন বেশি হয়, তখন অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) উৎসাহিত হয়।