কোভিড-১৯ মহামারির সঙ্কটের কারণে দেশজুড়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে মানুষ, ব্যাহত হচ্ছে প্রতিদিনকার জীবনযাপন। এ অবস্থায় কোভিড-১৯ সঙ্কট , উত্তরণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সরকারী, বেসরকারী বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ও উন্নয়ন সংস্থার সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে গ্রামীণফোন। সামাজিক দূরত্ব ও পরিবর্তিত জীবনধারায় গ্রাহকদের প্রয়োজন নিয়েও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
যোগাযোগ নিরবিচ্ছন্ন রাখতে, যেসব গ্রাহকদের একাউন্ট সংযোগের মেয়াদ ২০ এপ্রিলে ২০২০ সালে শেষ হয়েছে বা মে মাসের প্রথম সপ্তায় শেষ হবে তাদের সংযোগ কমপক্ষে ৩১ মে, ২০২০ সচল রাখবে গ্রামীণফোন। অনিশ্চয়তার এ সময়ে গ্রাহকদের সবচেয়ে বেশি দরকার নিরবচ্ছিন্ন সেবা, তাই সংযোগের মেয়াদ বাড়বে স্বয়ংক্রিয়ভাবে, এজন্য গ্রাহকদের কিছুই করতে হবে না।
এর ফলে গ্রামীণফোন গ্রাহকদের ইনকামিং ও আডটগোয়িং কলসহ অন্যান্য সেবা সক্রিয় থাকবে এবং গ্রাহকরা তাদের প্রিয়জনদের সাথে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখতে পারবেন।
কোভিড-১৯ সঙ্কটে টেলিযোগাযোগ খাতকে জরুরি সেবাখাত হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে, চলমান লকডাউনের কারণে দেশজুড়ে কিছু রিচার্জ এজেন্ট পয়েন্ট তাদের সম্পূর্ণ সেবাদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন না। ব্যালেন্স রিচার্জে অসুবিধা দূর করতে ডিজিটাল সেবার পাশাপাশি ব্যালেন্স ট্রান্সফার (গ্রামীণফোন থেকে গ্রামীণফোন) ইতিমধ্যে ফ্রি করে দিয়েছে গ্রামীণফোন।
লকডাউন শুরু হবার পর থেকে হোম অফিস ও পারস্পরিক যোগাযাগে ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে। গ্রাহকদের পরিবর্তিত জীবনধারা ও নতুনসব প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়ে গ্রামীণফোন ইন্টারনেট অফারে ১০০% বোনাস দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রামীণফোন ৩০ দিনের মেয়াদে একইদামে আগের ৮ জিবির অফারে এখন ডাবল অর্থ্যাৎ ১৬ জিবি ইন্টারনেট দিচ্ছে। এছাড়াও, প্রতিষ্ঠানটি এর ৪৮ পয়সা প্রতি মিনিটের একটি জনপ্রিয় অফারের মেয়াদ বাড়িয়েছে। এর আগে, এ প্যাকেজের মেয়াদ ছিলো ৩ দিন, এখন মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬ দিন। পাশাপাশি, পোস্টপেইড গ্রাহকদের জন্য বিল পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ দিন থেকে ২৫ দিন করা হয়েছে।
সেবা সংক্রান্ত এসব উদ্যোগ ছাড়াও, গ্রামীণফোন কোভিড-১৯ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও নান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে উৎসাহিত করতে প্রতিষ্ঠানটি নেটওয়ার্ক বারের কাছে ‘স্টে হোম’ বার্তা নিয়ে এসেছে; বাসায় থেকে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে গ্রামীণফোনের আইসিটি বিজনেস টিম নিয়ে এসেছে অডিও কনফারেন্সিং ও স্মার্ট কানেক্ট সল্যুশন।
এছাড়াও, দেশজুড়ে স্বাস্থ্যসেবাদাতাদের সহায়তায় গ্রামীণফোন ৫০ হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) এবং ১০ হাজার কোভিড টেস্ট কিট দিয়েছে। পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠানটি ব্র্যাকের সাথে যৌথ উদ্যোগে নিয়ে এসেছে ‘ডাকছে আমার দেশ’ উদ্যোগ। এ উদ্যোগের অধীনে ১ লাখ পরিবারকে জরুরি খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। বিস্তারিত জানতে [https://brac.net/dakcheamardesh/]