দেশের অর্থনীতিতে মোবাইল টেলিকম খাতের অবদান যত উল্লেখযোগ্যই হোক না কেন, সরকার নিয়মিতভাবে প্রতিবছর এই খাতের উপর আরও বেশি করে করের বোঝা চাপিয়ে একে আরও দুর্বল করে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) এস এম ফরহাদ।
২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নেওয়া সব সেবার ওপর ৫ শতাংশ ট্যাক্স বাড়ানোর প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
৫ শতাংশ ট্যাক্স বাড়ানোর ফলে গ্রাহকদের উপর বাড়তি চাপ পড়ছে উল্লেখ করে এস এম ফরহাদ বলেন, দেশের জিডিপিতে মোবাইলের বর্তমান অবদান ৭% থেকে যে দুই অংকের ঘরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল, তা আর অর্জিত না-ও হতে পারে। এ বছর সরকার মোবাইলের মাধ্যমে প্রাপ্ত সকল রকম সেবার ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ১০% থেকে বাড়িয়ে ১৫% করেছে যা অত্যন্ত হতাশাজনক। এর ফলে গ্রাহকদের উপর বাড়তি চাপ পড়বে।
ট্যাক্স বাড়ানো বিষয়ে এসআরও জারি হওয়ায় বর্ধিত হারে মোবাইল কল রেট আজ দিবাগত রাত ১২ টার পর থেকেই কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি।
‘দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এমনিতেই মানুষদের মধ্যে যখন নাভিশ্বাস উঠেছে, মোবাইল মাধ্যম হয়ে উঠেছে সব যোগাযোগের মূল চালিকা ও দেশ ডিজিটাল ইকনোমির দিকে এগিয়ে চলছে; ঠিক সে সময় এ ধরনের করের বোঝা কোনভাবেই দেশের অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক হবে না। এ বোঝা দরিদ্র মানুষের জন্য অসহনীয় হয়ে পড়বে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে অন্তরায় হয়ে উঠবে যা করোনাভাইরাস সঙ্কটের কারণে আরও বাড়বে। এতে মোবাইল শিল্প খাত আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্বল হবে।’
তিনি আরও বলেন, আমরা মোবাইল খাতের পক্ষ থেকে অলাভজনক কোম্পানির জন্য বর্তমান ২ শতাংশ ন্যুনতম কর বিলোপ ও করপোরেট ট্যাক্স কমানোর জন্য পূর্বাপর অনুরোধ করলেও তা বিবেচনা হয়নি, যা চরম হতাশাজনক।
সরকারকে টেলিকম খাতের বাজেটের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবারও অনুরোধ জানান তিনি।