মোবাইল ফোনে কথা বলায় বাড়তি শুল্ক থাকছে না। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে এই সেবার উপর সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হচ্ছে। ফলে আগের মতোই ১০ শতাংশ সম্পূরক থাকবে। এবারের বাজেটে এই সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট ঘোষণার পরপরই বাড়তি শুল্ক কার্যকর হয়। এই নিয়ে গ্রাহক, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। অবশেষে জাতীয় রাজস্ব বোড( এনবিআর) বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ‘মোবাইল সেবায় সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এই বাড়তি শুল্ক অন্তরায়।
বাজেট নিয়ে এক অনলাইন আলোচনায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘মোবাইল সেবায় সম্পূরক শুল্কের বিষয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। আশা করি অর্থমন্ত্রী এ বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন।’
এরই ধারাবাহিকতায় মোবাইল সেবার উপর আরোপিত বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহা করে নেয়া হচ্ছে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে মোবাইল ফোন সেবার মতোই ১০ শতাংশ সম্পূরক থাকবে। আগামীকার সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২০ সালের অর্থবিল পাস করার সময় অর্থমন্ত্রী বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিতে পারেন।
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ফোন কল রেটের উপর ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপিত ছিল। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে তা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। এবারও ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটেও এই খাতে ১০ শতাংশ শুল্কই থাকছে।
সম্পূরক শুল্কহার ১০ শতাংশই থাকলে মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং বার্তা পাঠানোয় খরচ হবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ১ শতাংশ সারচার্জ, ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ইত্যাদি মিলে মোট খরচ ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। ফলে ১০০ টাকা মোবাইল ফোনে রিচার্জ করলে সরকার ২২ টাকা কেটে নিবে।