দুই বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক- ফাইভজি ব্যবহার শুরু হয়েছিলো। সেসময় ঘোষণা করা হয়েছিলো, বিদ্যমান ফোরজি’র চেয়ে ফাইভজি’তে গ্রাহকরা স্বচালিত গাড়ি, ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (ভিআর) থেকে ক্লাউড গেমের ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবে। তবে দুইবছর পরও তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় ক্ষেপেছেন কোরিয়ান গ্রাহকরা।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, দেশটির তিনটি বড় টেলিকম অপারেটর এসকে টেলিকম, কেটি কর্প ও এলজি ইউপ্লাসের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন গ্রাহকরা।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফাইজি নেটওয়ার্কে গড় ডাউনলোড গতি ফোরজি এলটিইর চেয়ে চারগুণ বেশি ছিলো। যেখানে প্রাথমিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ২০ গুণ বেশি গতি হওয়ার কথা। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশটির ৭ কোটি ১০ লাখ মোবাইল ব্যবহারকারীর মধ্যে মাত্র ১৯ শতাংশ ফাইভজি ব্যবহারকারী ছিলেন। আর ৭৩ শতাংশই ছিলেন ফোরজির ব্যবহারকারী।
জানা গেছে, টেলিকম অপারেটররা তিনগুণ দ্রুত ফাইভজি বেস স্টেশন স্থাপন করেছে। হিসাব অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশজুড়ে ৯ লাখ ৭০ হাজার বেস স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। তারপরও শহরের প্রধান প্রধান শহরগুলোতেই সীমাবদ্ধ এ সেবা।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিকস অ্যান্ড ট্রেডের গবেষণা সহযোগী কিম জং-কি বলেন, ব্যবহারকারীরা যখন থ্রিজি থেকে এলটিইতে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন, তখন তাদের কাছে ভিডিও কলের মতো পরিষেবাগুলোর অ্যাক্সেস ছিলো, যা কম গতির জন্য আগে সীমাবদ্ধ ছিলো। বর্তমানে নির্দিষ্ট অঞ্চলগুলো বাদ দিয়ে ফাইভজির গতি খুব বেশি দ্রুত না।
এমন পরিস্থিতিতে আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান জোউনের আইনজীবী কিম জিন-উকের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রায় ১০ হাজার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এ আইনি পদক্ষেপে যোগ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
ফাইভজি নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি নিয়ে স্বল্পতা স্বীকার করে দেশটির বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় ভাইস মিনিস্টার চো কিয়েং-সিক বলেন, ঘোষণা অনুযায়ী ফাইভজি’র বাস্তবায়ন এখনো সম্ভব হয়নি।