চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) গ্রামীণফোন লিমিটেডের নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে ১৩ লাখ নতুন গ্রাহক। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১০ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে মোট গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ২০ লাখ। যার মধ্যে ইন্টারনেট গ্রাহক ৪ কোটি ৪৭ লাখ। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৫৩ দশমিক ৩ শতাংশই ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। গ্রামীণফোনের প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন) আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের আয় বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রাহক অভিজ্ঞতার মানোন্নয়ন ও ডিজিটালাইজেশনের ওপর আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা রয়েছে। যে কারণে আরো বেশি সংখ্যক গ্রাহক গ্রামীণফোনের সেবা বেছে নিয়েছেন। একই কারণে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইন্টারনেট ব্যবহারও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে নিজেদের সকল টাওয়ারে ফোরজি সেবা সম্প্রসারণ করে গ্রামীণফোন। পাশাপাশি, অধিকৃত নতুন তরঙ্গ ব্যবহার ও নেটওয়ার্ক বিস্তারের ব্যাপারেও আমরা আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। ধারাবাহিকভাবে নতুন নেটওয়ার্ক সাইট স্থাপন করছি।
জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের ফোরজি গ্রাহক বেড়েছে ২৩ লাখ, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। একই সময়ে ডিজিটাল রিজার্চ বেড়েছে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
গ্রামীণফোন লিমিটেডের সিএফও ইয়েন্স বেকার বলেন, ২০২১ সালের শুরু থেকে ব্যবসায়িক গতির ধারা উন্নতির দিকে থাকায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় আমাদের সাবক্রিপশন ও ট্র্যাফিক রাজস্ব বেড়েছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। গ্রাহক প্রতি ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ শতাংশ। ইন্টারনেট গ্রাহকের ক্ষেত্রে বছরপ্রতি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে আমাদের মোট রাজস্বের ক্ষেত্রে ৮ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ইবিআইটিডিএ (পরিচালন আয়) মার্জিন ৬২ শতাংশ নিয়ে আমরা প্রান্তিক শেষ করেছি। ২৩ দশমিক ৮ শতাংশ মার্জিন নিয়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকে মোট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮৫১ কোটি টাকা।
এদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক কাভারেজে উন্নয়নে ৫১৮ দশমিক ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। গ্রামীণফোনের মোট সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪১৬টি। চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে প্রতিষ্ঠানটি কর, ভ্যাট, ডিউটি, ফি, ফোরজি লাইসেন্স এবং তরঙ্গ বরাদ্দ ফি বাবদ ৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা সরকারি কোষগারে জমা দিয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানের মোট আয়ের ৭৭ দশমিক ২ শতাংশ।