রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সরঞ্জামসহ শফিকুল ইসলাম (৩৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। অভিযানে টেলিটলের এক হাজারের বেশি সিম উদ্ধার করা হয়। র্যাব বলছে, অবৈধ এই ভিওআইপি ব্যবসার মূলহোতা সৌদি আরব প্রবাসী। তিনি সৌদি আরব বসে এই ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে র্যাব ও বিটিআরসির যৌথ অভিযান শুরু হয়। এরপর রাত ৮টা ১৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ার জাকির হোসেন রোডের ই-ব্লকের জি-ফাইভ বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সরঞ্জামসহ শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। শফিকুল ওই ফ্ল্যাটের কেয়ারটেকার।
তবে উদ্ধার এই সরঞ্জামের মূল মালিক আলি নামের একজন সৌদি প্রবাসী। তিনি প্রবাসে থাকলেও তিনজন কর্মী রেখে ভিওআইপি ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনজনের মধ্যে দুইজন সার্ভার মেইনটেইন করতেন। তবে তারা এখন পলাতক রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, অভিযানে এক হাজারের বেশি টেলিটকের সিম উদ্ধার করা হয়েছে। এই সিম ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা ফোনকল অবৈধভাবে ট্রানজেকশন করতো। অভিযানে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এই সরঞ্জাম ব্যবহার করে একসঙ্গে ১৬০টি কল ট্রাইনজেকশন করা হতো।
এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অবৈধ ভিওআইপি ফোনকলের কারণে প্রতি বছর পাঁচ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছিল সরকার। চক্রটি গত দেড় বছর ধরে অবৈধ ভিওআইপির ব্যবসা করে আসছিল। সেই হিসাবে সরকারের সাত থেকে আট কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।