দেশে ২ হাজার ৪৭০টি টাওয়ার রয়েছে দ্বিতীয় শীর্ষ মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটার। এসব নেটওয়ার্ক টাওয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এ সংক্রান্ত আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
রবি সূত্র জানায়, মূলত তিনটি কারণে নিজেদের মোবাইল টাওয়ারগুলো বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেগুলা হলো- অপারেটরদের টাওয়ার ভাগাভাগি, টাওয়ার পরিচালনার খরচ কমানো এবং এককালীন আয়ের সুযোগ সৃষ্টি।
বিষয়টি পরোক্ষভাবে নিশ্চিত করে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, বাস্তবতার কারণে বিনিয়োগ সুরক্ষায় টাওয়ার ভাগাভাগির বিকল্প নেই। এ নিয়ে অনেক আগে থেকেই আমরা কাজ করছি, যার মাধ্যমে সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এর আগে ২০১৫ সালে ইডটকো নামক একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫ হাজার ২৫৮টি টাওয়ার বিক্রি করেছিল রবি। এটির মালিকানাও রবির মূল প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ার আজিয়াটা বারহাদের হাতে রয়েছে। টাওয়ার বিক্রির মাধ্যমে ২৫ কোটি ডলার বা প্রায় ২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা পেয়েছে রবি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, টাওয়ার ভাগাভাগি করে ব্যবহারের জন্য বিটিআরসি যে উদ্যোগ নিয়েছিল, তা এখনো সফল হয়নি। এখন দেশে ২৫ হাজারের মতো টাওয়ার মোবাইল অপারেটরগুলোর হাতে আছে। তার ১৫ শতাংশের মতো ভাগাভাগি হয়। অপারেটরগুলো নিজেরা চাইলে নিজেদের টাওয়ার অন্য অপারেটরকে ব্যবহার করতে দিতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশে ৪টি মোবাইল অপারেটর রয়েছে। সেগুলো হলো- গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিঙ্ক ও টেলিটক। এসব অপারেটর আগে নিজেরাই মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা করতো। তাদের জন্য টাওয়ার বসানো ও পরিচালনার জন্য ২০১৮ সালের নভেম্বরে ৪টি টাওয়ার কোম্পানিকে লাইসেন্স দেয়া হয়।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) নীতিমালা অনুযায়ী, এখন টাওয়ার বসাতে পারছে না মোবাইল অপারেটরগুলো। তবে পুরোনো টাওয়ারগুলো তারা চাইলে নিজেদের মতো করে ব্যবস্থাপনা করতে পারবে।