গত বছর বৈশ্বিক টেলিকম ক্লাউডের বাজার ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের হলেও ২০৩০-এর মধ্যে তা ১২ হাজার ৫৬৪ কোটি ডলারে দাঁড়াবে। ২০২১-৩০-এ টেলিকম ক্লাউড খাতের বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি (সিএজিআর) হবে ২১ দশমিক ৮০ শতাংশ। অ্যালাইড মার্কেট রিসার্চের (এএমআর) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খবর গ্লোব নিউজওয়্যার।
কোন কোন বাজারে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ আসতে পারে এবং কোন কোন বিষয় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবকের ভূমিকা পালন করবে, এএমআরের প্রতিবেদনে তা উঠে এসেছে। আইটি ও টেলিযোগাযোগ খাতের দ্রুত সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন বৈশ্বিক টেলিকম ক্লাউড মার্কেটের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। তবে ক্লাউড মডেলের কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে কিছু ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। অবশ্য ক্লাউড কম্পিউটিং ও টেলিকম সেবার মতো কিছু খাতে আকর্ষণীয় সুযোগ সৃষ্টির ফলে লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধির দেখা মিলবে।
ধীরে ধীরে ক্লাউড মার্কেট সম্প্রসারণ হলেও করোনা পরিস্থিতি পুরো ডাইমেনশন পাল্টে দেয়। বিশ্বব্যাপীই টেলিকম নেটওয়ার্কে বড় আকারের ট্রাফিক প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। এ সময়ে অধিক ব্যান্ডউইডথের চাহিদা বেড়েছে। ভোক্তাদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রভাবে বৈশ্বিক টেলিকম ক্লাউড খাতে প্রযুক্তিগত রূপান্তর দেখা যাচ্ছে।
অঞ্চলভেদে ২০২০ সালে বৈশ্বিক টেলিকম ক্লাউডের উল্লেখযোগ্য শেয়ার ছিল উত্তর আমেরিকার। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মতো বাজারগুলোর ওপর দাঁড়িয়ে বৈশ্বিক টেলিকম ক্লাউড শিল্পের দুই-পঞ্চমাংশ ছিল এ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে। তবে আগামী দশকে সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ সিএজিআর সম্ভাবনা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের।
বৈশ্বিক টেলিকম ক্লাউড বাজার প্রতিবেদনে যেসব প্রতিষ্ঠানকে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে মাইক্রোসফট, গুগল, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস (এডব্লিউএস), আইবিএম, ওরাকল, এটিঅ্যান্ডটি, ইটিসালাট, ডেল, টেলস্ট্রা ও ভেরাইজন। অংশীদারত্ব, সম্প্রসারণ, সহযোগিতা, যৌথ উদ্যোগের মতো বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানগুলো আগামীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রকরণ, কম্পিউটিং সেবা, ব্যবহারকারী ও অঞ্চলভেদে এএমআরের প্রতিবেদনে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রকরণ বা টাইপের ভিত্তিতে ২০২০ সালে প্রধান শেয়ার ছিল পাবলিক ক্লাউড সেগমেন্টের। মোট বাজারের দুই-তৃতীয়াংশই ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। তবে ২০২১-৩০-এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪ দশমিক ৭ শতাংশ সিএজিআর থাকবে হাইব্রিড ক্লাউড সেগমেন্টের।
কম্পিউটিং সার্ভিসের ক্ষেত্রে ২০২০ সালে মোট আয়ের দুই-পঞ্চমাংশেরও বেশি আয় করেছে ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যাজ আ সার্ভিস বা আইএএএস সেগমেন্ট। ২০৩০ সালেও এ সেগমেন্ট শীর্ষস্থান ধরে রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে এক দশকে সর্বোচ্চ ২২ দশমিক ৮০ শতাংশ সিএজিআর থাকবে সফটওয়্যার অ্যাজ আ সার্ভিস বা এসএএএস সেগমেন্টের।