ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়তে পারে। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ব্রডব্র্যান্ড, ওয়াইফাই, ডিএসএল ও কেবলের মাধ্যমে যেসব ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে, সেখানে ট্যারিফ বা কর বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গ্রাহক পর্যায়ে যুক্ত হতে পারে ভ্যাট। সংশ্নিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি মোবাইল ফোনের টক টাইম ও এসএমএস থেকে সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ কমেছে। স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় মানুষ মোবাইলে কথা বলা বা এসএমএস পাঠানোর বদলে অ্যাপ ব্যবহার করে কথা বলছেন বেশি। এতে টক টাইম ও এসএমএস থেকে ভ্যাট বাবদ রাজস্ব কমে গেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই অর্থবছরের ১০ মাসে টেলিকম খাত থেকে ভ্যাট কমেছে ২০০ কোটি টাকা। এজন্য এনবিআর চাচ্ছে, ইন্টারনেট ব্যবহার করে অ্যাপের মাধ্যমে কথা বললেও যাতে সরকার সেখান থেকে কিছু রাজস্ব পায়। বর্তমানে এই খাত থেকে ভ্যাট আসে না।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি দেশের বড় বড় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) ও পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্ক (পিএসটিএন) কোম্পানি অডিট করেছে এনবিআর। এসব কোম্পানির গত পাঁচ বছরের তথ্য পর্যালোচনা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, কোম্পানিগুলোর ব্যবসা প্রতি বছরই বড় হয়েছে। এখন কোম্পানিগুলো টেকসই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে গেছে। গ্রাহক সংখ্যা বাড়ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এসব কোম্পানি থেকে বেশি রাজস্ব সংগ্রহের কথা ভাবা হচ্ছে। এজন্য ইন্টারনেটের দর বাড়ানো হবে। তবে তা গ্রাহক পর্যায়ে বাড়বে কিনা তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ২ হাজার ৩৪৬টি আইএসপির লাইসেন্স নিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আর ১১টি পিএসটিএন লাইসেন্স নিয়েছে বিভিন্ন কোম্পানি। গত এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে আইএসপি ও পিএসটিএনের গ্রাহক ছিল ১ কোটি ৯ লাখ ৯০ হাজার। এসব কোম্পানি বর্তমানে তাদের মাধ্যমে সরবরাহ করা ইন্টারনেটের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে থাকে। আর কোম্পানিগুলোর করপোরেট কর ৩৫ শতাংশ।