দেশের ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ কারণে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ে যাচ্ছে দেশ। এর ফলে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবায় বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছে গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইন্টারনেট সেবা সরবরাহের অন্যতম কাঁচামাল বিদ্যুৎ। মোবাইল ইন্টারনেট সেবা দিতে সারাদেশে লক্ষেরও অধিক বিটিএস টাওয়ার রয়েছে, যা বিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত। সুতরাং বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হলে ইন্টারনেট সেবায় বিরূপ প্রভাব পড়বে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি অপারেটরের জোনভিত্তিক অপারেশন কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। এমনকি আইএসপি প্রতিষ্ঠানের অপারেশন কেন্দ্রগুলোও বিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত হয়। সরকারের লোডশেডিং সিদ্ধান্তের সাথে এখন পর্যন্ত টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বা বিটিআরসির ইকো সিস্টেম গড়ে তোলার কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি। এ নিয়ে সমন্বয় না থাকায় টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।
বর্তমান সময়ে জীবনের অন্যতম সেবার নাম ইন্টারনেট- এমন মন্তব্য করে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, অফিস এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সময় কমিয়ে আনলে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বহুলাংশে। তাই টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।