গ্রামীণফোনের সিম বিক্রি বন্ধের ঘোষণায় পৌষমাস দেখেছিলো রবি অজিয়াটা লিমিটেডের শেয়ার। কিন্তু পৌষমাস বেশিদিন রইলো না রবির শেয়ারে। কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেনে আবারও নেমে এসেছে ধীরগতি। কয়েকদিন আগেও যে কোম্পানির শেয়ারে বিক্রেতা ছিল না, সেই কোম্পানির শেয়ার এখন ক্রেতা-শূন্য হয়ে পড়ছে। লেনদেনের মাঝখানে উধাও হয়ে যাচ্ছে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্রেতা।
এদিকে প্রায় প্রতিদিনই দর হারাচ্ছে কোম্পানিটির শেয়ার। বুধবার (২০ জুলাই) নিয়ে টানা ৯ দিন দরপতন হয়েছে কোম্পানিটির শেয়ারের।
গত ২৯ জুন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) পুঁজিবাজারে টেলিযোগাযোগ খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেডের সিম বিক্রি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা ঘোষণা করার প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে। এই সিদ্ধান্তের ফলে গ্রামীণফোনের ব্যবসা সম্প্রসারণ ব্যাহত হবে এমন আশংকায় কমে যায় কোম্পানিটির শেয়ারের দাম। অন্যদিকে গ্রামীণের সিম বিক্রি বন্ধ থাকলে রবিসহ অন্য অপারেটরগুলোর গ্রাহক বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে-এমন সম্ভাবনায় চাঙ্গা হয়ে ওঠে রবির শেয়ার। এই সিদ্ধান্তের পর টানা চারদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রবির শেয়ারের দাম ছিল উর্ধমুখী। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে ২৮ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৩৭ টাকা ১০ পয়সায় উন্নীত হয়। মাত্র চার দিনে শেয়ারটির দাম বাড়ে প্রায় ৩০ শতাংশ। কিন্তু এরপর থেকেই চলতে থাকে মূল্য সংশোধন। পরবর্তী ৯ দিনে শেয়ারটি দর কমেছে প্রায় ১৭ শতাংশ। তবে দর বৃদ্ধির গ্রহণযোগ্য সীমার চেয়ে দর হ্রাসের গ্রহণযোগ্য সীমার হার অনেক কম হওয়ায় দর পতনের তীব্রতার প্রকৃত প্রতিফলন ঘটেনি।
ডিএসই হতে পাওয়া তথ্যমতে (২০ জুলাই) রবির শেয়ারের শেষ লেনদেন হয়েছে ৩১ টাকা ৩০ পয়সায়। যা গতদিনের তুলনায় ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ বা ৬০ পয়সা কম।
বিশ্লেষকদের মতে, বিটিআরসির সিদ্ধান্তের পর অনেকটা হুজুগের কারণে অনেক বিনিয়োগকারী রবির শেয়ারে অনেক বেশি মাত্রায় ঝুঁকে পড়েন। তাতে শেয়ারটির দাম অল্প সময়ে এতটা বেড়ে যায়। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীসহ অন্য বিনিয়োগকারীরা সতর্ক অবস্থান নেন। রবির টার্নওভারের বিপরীতে মুনাফার হার অনেক কম হওয়ায় গ্রাহক সংখ্যা কিছু বাড়লেও বাস্তবে কোম্পানিটির মুনাফার প্রবৃদ্ধি কতটা হবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এ কারণে পড়ে গেছে শেয়ারটির দাম।