২০১২-১৩ সালের পর থেকে ধিরে-ধিরে দেশে জ্যামিতিক হারে টেলিফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমতে থাকে৷ এখন হয়তো অনেক বাসা-বাড়ির স্টোর হাউজে ধুলো-বালি জমা পুরোনো টেলিফোন খুজে পাওয়া যাবে৷
মজার বিষয় হলো যে, বাংলাদেশে টেলিফোন খরচ, মোবাইল ফোন অপারেটরদের কল রেটের থেকে অনেকটাই কম বলা চলে৷
এছাড়াও টেলিফোনে আরো নানাবিধ কিছু সুবিধা রয়েছে-যা জানলে আজকের ভেতরেই আপনি বাসায় টেলিফোন সংযোগ নিতে বাধ্য হবেন!
আকর্ষণীয় কলরেটঃ
২০২১ সালের ৭ই আগষ্ট বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে গৃহীত এক সিদ্ধান্তে,বিটিসিএল থেকে অন্য যেকোনো অপারেটরে ফোন কল মাত্র ৫২ পয়সা প্রতি মিনিট ধার্য করা হয়৷ যা আগে ছিলো ৮০ পয়সা।
যেখানে অন্য অপারেটরগুলিতে কল রেট এর চেয়ে ঢের বেশী৷ অবশ্য বেশ কিছু অফারের দৌলতে এই কল রেট কমিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু অফার তো অফারই!
মাত্র ১৫০৳ তে আনলিমিটেড কথা!
হ্যা! মাসে মাত্র ১৫০৳’র বিনিময়ে বিটিসিএল থেকে বিটিসিএল অফুরন্ত কথা বলে যাবে৷ ২০২১ সালের আগষ্ট মাসের ১৬ তারিখ থেকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়৷
বিটিসিএল এর সংযোগ গ্রহণ করতে হলে, ঢাকার ব্যবহারকারীদের ১০০০৳, বিভাগীয় অঞ্চলের ব্যবহারকারীদের ৬০০৳ ও জেলা পর্যায়ের গ্রাহকদের ৩০০৳ জামানত প্রদান করতে হবে।
এছাড়াও গত বছরের আগষ্ট মাসে লাইন রেন্ট সিস্টেম বাতিল করা হয়৷
টেলিফোনে মানেই ইউনিক কিছু!
যেহেতু টেলিফোনের প্রচলন এখন আর নেই বললেই চলে,কাজে টেলিফোন নাম্বার পরবরতী জেনারেশনের কাছে অনন্য বা ইউনিক একটি গ্যাজেট হতে চলেছে।বিশেষ করে টেলিফোনের ১০ ডিজিটের নাম্বারটি!
সুতরাং বাসায় টেলিফোন সংযোগ থাকলে কেও আপনাকে সেকেলেও বলতে পারবে না!
তবুও এতো সুবিধার পরেও দেশে টেলিফোন গ্রাহকের সংখ্যা খুব একটা বাড়েনি বরং দিনকে দিন কমছে৷ সরকারী অফিস আদালত বাদে এখন টেলিফোন খুব একটা চোখেও পড়ে না৷
২০১২-১৩ সালে বাংলাদেশে টেলিফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো ৯ লাখ (প্রায়)
-
২০১৩-১৪ সালে সেই সংখ্যা কমে আসে ৭.৭১ লাখে৷
-
২০১৪-১৫ সালে সেটি গিয়ে দাঁড়ায় ৬.৬১ লাখে৷
-
সর্বশেষ ২০২১ সালে বাংলাদেশের টেলিফোন সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৪.৮৪ লাখে৷
এতো সুযোগ-সুবিধা থাকার পরেও কেনো টেলিফোন গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ছে না সেটিই এখন ভাববার বিষয়!