ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে সারাদেশে অচল হয়ে পড়েছে মোবাইল টাওয়ার। এতে মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহারে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে।
২৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সাত হাজার ৩৪২টি মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে। যার মধ্যে সচল করা সম্ভব হয়েছে ১ হাজার ৫২৮টি। এখনো স্বাভাবিক হয়নি ৫ হাজার ৮১৩টি মোবাইল টাওয়ার।
যদিও সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অচল টাওয়ারের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৫৬৩টি। মঙ্গলবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত হাজার ৩৪২টিতে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সচল হতে শুরু করে মোবাইল নেটওয়ার্ক।
মোবাইল কোম্পানি গ্রামীণফোনের অচল হয়েছে দুই হাজার ৮৬৩টি টাওয়ার, সচল হয়েছে ৬৯০টি। রবির অচল হয়েছে দুই হাজার ৪৯১টি টাওয়ার, সচল হয়ছে ৫৭৮টি। বাংলালিংকের অচল হয়েছে এক হাজার ৩৭৮টি, সচল হয়েছে ২০টি এবং টেলিটকের অচল হয়েছে ৬১০টি, সচল হয়েছে ২৮৮টি টাওয়ার।
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, ‘বিদ্যুতহীন এলাকাগুলোতে নেটওয়ার্ক চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আমাদের সেবা কিছুটা বিঘ্ন হচ্ছে। এ জন্য আমরা গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে গত রোববার রাত থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকার প্রায় ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার কিছু অংশ এখনো অন্ধকারে।