এয়ারটেল ব্রান্ড নাম ব্যবহার করতে পারবে না মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি এ নামে আর কোনো প্রচার-প্রসার চালাতে পারবে না। দিতে পারবে না বিজ্ঞাপনও। এয়ারটেলের নামে কোনো সেবাও দেওয়া যাবে না। এয়ারটেলের গ্রাহকরা রবির গ্রাহক হিসেবেই চিহ্নিত হবেন। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। সংস্থাটির ২৬৯তম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।
মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের দুটি ব্র্যান্ড রবি ও এয়ারটেল। এয়ারটেল ব্র্যান্ড নামেই রয়েছে মোবাইল সিম। এ নামেই ভয়েস ও ডেটার (ইন্টারনেট) প্যাকেজের প্রচার প্রসারের জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যম, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। তবে এখন তা আর তা পারবে না রবি।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, কমিশন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে— এয়ারটেল নামে কোনো প্যাকেজ অফার করা যাবে না। যেসব প্যাকেজ চালু আছে, তার মেয়াদ শেষ হলে তা আর এয়ারটেল নামে নবায়ন করা যাবে না। এয়ারটেলের কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না এবং এয়ারটেলের হোল্ডিং বা ব্যানার বিজ্ঞাপন থাকলে তা দুই মাসের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে হবে।
সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে সংঘটিত রবি ও এয়ারটেলের মাঝে মার্জারের শর্তানুসারে এয়ারটেলের নামে কোনো প্যাকেজ অফার করা যাবে না। বর্তমানে এয়ারটেলের নামে চলমান যে প্যাকেজগুলো বাজারে আছে, সেগুলো মেয়াদ শেষে এয়ারটেলের নামে আর নবায়ন করা যাবে না। যেসব গ্রাহক প্যাকেজগুলো নবায়ন করতে চায়, তাদের বিকল্প প্যাকেজ অফার করা যাবে। প্যাকেজ সংক্রান্ত বিদ্যমান নির্দেশিকা অনুযায়ী— যেকোনো (আনলিমিটেড প্যাকেজ ব্যতীত) প্যাকেজের সর্বোচ্চ মেয়াদ ৩০ দিন। সেই অনুসারে অনলাইনে (অফিসিয়াল, ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, টেলিভিশন প্রভৃতি) এয়ারটেলের কোনও বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না। রাস্তাঘাটে হোল্ডিং, রিটেইলার শপ ইত্যাদিতে এয়ারটেলের যেকোনও বিজ্ঞাপন থাকলে তা চিঠি জারির (নির্দেশনা) তারিখ থেকে দুই মাসের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে হবে।
জানা গেছে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে এয়ারটেলের প্যাকেজ ও অফার সম্পর্কে এ ধরনের একটি অভিযোগ আসে। টেলিযোগাযোগ বিভাগ অভিযোগটি বিটিআরসিতে পাঠিয়ে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেবেন। অভিযোগটি ছিল— এয়ারটেল রবির অংশ। অথচ তারা আলাদা অফার দেয়। আলাদা ব্র্যান্ডিং করে। ফলে এয়ারটেল নিয়ে গ্রাহকরা বিভ্রান্ত হচ্ছে। এয়ারটেলের আলাদা প্যাকেজ ও ব্র্যান্ডিং বন্ধ করতে হবে।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের লিগ্যাল ও লাইসেন্সিং বিভাগও মতামত দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই কমিশন বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত এসেছে।