দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি বেড়েছে। এতে বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়েও বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বরে ইন্টারনেটের গতিতে সাত ধাপ এগিয়েছে দেশ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওকলার র্যাঙ্কিং অনুসারে, গত নভেম্বরে মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বিশ্বের ১৪২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৯তম। অক্টোবর মাসে র্যাঙ্কিংয়ে ১২৬তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।
বিভিন্ন দেশের ইন্টারনেটের গতি নিয়ে প্রতি মাসে ‘স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওকলা।
তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটে ডাউনলোড স্পিড ১৩ দশমিক ৯৫ মেগাবিট পার সেকেন্ড (এমবিপিএস)। আপলোড স্পিড ৯ দশমিক ২০ এমবিপিএস। ব্রডব্যান্ডে ডাউনলোড স্পিড ৩৪ দশমিক ৮৫ মেগাবিট পার সেকেন্ড (এমবিপিএস)। আপলোড স্পিড ৩৭ দশমিক ৪১ এমবিপিএস।
এই প্রতিবেদনে, সবার ওপরে রয়েছে কাতার। দেশটি এক ধাপ এগিয়ে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে।
ইন্টারনেটে গতির দিক দিয়ে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের আগে রয়েছে ভারত ১০৫তম। দেশটি আট ধাপ এগিয়েছে। আর তিন ধাপ এগিয়ে পাকিস্তান ১১৪তম অবস্থানে। এছাড়া শ্রীলঙ্কা ১১৮তম ও নয় ধাপ এগিয়ে ২২তম অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ।
বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে শুধু নেপাল ১২১তম ও আফগানিস্তান ১৪২তম।
এদিকে, ২০২১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩০তম। সেখান থেকে একই বছরের ডিসেম্বরে অবস্থান ছিল ১২৮তম। পরের বছর ২০২২ সালের শুরুতে আবারও ১৩০তম, ফেব্রুয়ারি-মার্চ-এপ্রিলে অবস্থান ছিল ১২৯তম।
তবে মে মাসে সবচেয়ে বেশি অবনতি হয়ে ১৩৪তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গতি। তবে সবশেষ উন্নতি-অবনতির মধ্য দিয়ে গেল বছরের নভেম্বরে ১১৯তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।
একইভাবে গত নভেম্বরের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির চিত্রও তুলে ধরেছে ওকলা। এতে তিন ধাপ এগিয়ে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০২তম। এতে বাংলাদেশের পেছনে আছে শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতে এগিয়ে আছে ভারত।