দেশে ইন্টারনেট পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিকল্প উপায়ে ডাটা সেন্টার সচল করতে কাজ করছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা। ফলে দ্রুতই স্বাভাবিক হবে দেশের ইন্টারনেট পরিষেবা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালীর বহুতল ভবন খাজা টাওয়ারে আগুন লাগে। এই অগ্নিকাণ্ডের পরপরেই দেশজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটে। ইন্টারনেট গতি ধীর হয়ে যায়। ফেসবুকসহ নানা ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে অসুবিধায় পড়েন ব্যবহারকারীরা।
রাতে মুঠোফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়, খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোবাইল অপারেটরদের একে অপরের মধ্যে ভয়েস কলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। ওই ভবনে ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স) থাকার কারণে এমনটি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট আইসিএক্স অপারেটরদের সহযোগিতায় মুঠোফোন অপারেটররা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আন্তসংযোগ ব্যবস্থা অন্যত্র পুনঃস্থাপনের জন্য কাজ করছে। দ্রুতই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে বলে তারা আশা করে প্রতিষ্ঠানটি।
কিন্তু শুক্রবার সারাদিনেও ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবহারকারীরা অসুবিধায় পড়েন।
এ ঘটনায় ইন্টারনেট–সেবা বিঘ্নিত হওয়ার কথা জানিয়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) কোম্পানিগুলো বলেছে, খাজা টাওয়ারে দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ডেটা সেন্টার রয়েছে। আগুন লাগার কারণে সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ইন্টারনেট–সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
ইন্টারনেট–সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি এমদাদুল হক গণামাধ্যকে জানান, দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ইন্টারনেট–সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ব্যান্ডউইডথ আসত খাজা টাওয়ারের দুই ডেটা সেন্টার থেকে। এই ইন্টারনেট–সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট–সেবার ৭০ শতাংশ দিয়ে থাকে। যেহেতু ডেটা সেন্টারগুলো বন্ধ হয়েছে, তাই ইন্টারনেট–সেবায় বিঘ্ন হচ্ছে। তবে মুঠোফোনে ইন্টারনেট–সেবা সচল রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ইন্টারনেটের গতিতে কিছুটা পরিবর্তন আসে। ফেসবুক আগের চেয়ে দ্রুত গতিতে কাজ করতে শুরু করে। অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোও কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা যায়।
উল্লেখ্য, খাজা টাওয়ারে ফেসবুকে একটি ক্যাশ সার্ভার ছিল। ওই ভবনে আগুন লাগার পর বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখার ফলে ফেসবুকে অনেকটাই স্লো হয়ে যায়।